ঢাকা: পাটপণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার তৈরি করতে এর ব্যবহারিক উপযোগিতা ও নান্দনিকতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ফাররাগটে অবস্থিত পাট বহুমুখীকরণ প্রচার কেন্দ্রের বুটক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু কৃত্রিম ফুল ও ফল বানিয়ে পাটপণ্যের মাধ্যমে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষ ফুল ও ফলের মতো নান্দনিক জিনিস দেখে আনন্দিত হলেও, সেগুলো কেনে না। পাটপণ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এমন জিনিস তৈরি করতে হবে যা মানুষ কেনে এবং যার ব্যবহারিক উপযোগিতা আছে।
তিনি জানান, সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছে এবং উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সেই প্রচেষ্টারই অংশ।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, সরকার প্রথমে ৩০ লাখ পাটের ব্যাগ বাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ১ কোটি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, পাট ব্যাগ বাজারজাতকরণের জন্য সরকার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা খুব একটা সন্তোষজনক মনে হয়নি। একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগেছে, যা মোটেও সন্তোষজনক নয়।
তিনি বলেন, পণ্য বিক্রির জন্য উদ্যোক্তাদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। প্রথমত, পণ্যের ব্যবহারিক দিককে গুরুত্ব দিতে হবে; দ্বিতীয়ত, এর নান্দনিকতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সর্বোপরি এর বাজার প্রবেশের সক্ষমতা বিবেচনায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পাট বহুমুখীকরণ প্রচার কেন্দ্রের মহাপরিচালক মো. জাহিদ হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও বিভাগের যুগ্ম সচিব শায়লা ইয়াসমিন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিস্ট তারা মালহারে এবং প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডাক ডাং ব্রুস।
এই তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পাটপণ্য নিয়ে কাজ করা ১০৫ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।