সোমবার ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
সর্বশেষ:
টানা লোকসানে ডেসকো: দুই বছরে ৬৩০ কোটি টাকা ক্ষতি, ফের লভ্যাংশ বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশি অপারেটরের হাতে যাচ্ছে তিন বন্দর টার্মিনাল: নৌ সচিব ট্রাম্পের এক ঘোষণায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূলধন উধাও: যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাজারে বড় পতন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের বৈঠক মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ জেপি মরগ্যান সিইও’র সতর্কবার্তা: ৬ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরো ২০৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক সূদের হার কমানো ও রপ্তানি সহায়তা তহবিল বৃদ্ধির তাগিদ: গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই‘র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বৈঠক

সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আত্মবিশ্বাসী সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ঢাকা, ২৩ আগস্ট: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণ অপরিহার্য।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, রপ্তানি-কেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমেই দেশ সমৃদ্ধ হবে। শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধির একটি নতুন পথ খুলেছে।শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, মার্কিন পাল্টা শুল্ক আরোপের পর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সরকার দুর্বল বা অনভিজ্ঞ—এমন সমালোচনা সত্ত্বেও, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সফল চুক্তি করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এই আলোচনায় একটি সুদৃঢ় প্রস্তুতি ছিল। বিশেষ করে, অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন সমাজকে খুব ভালোভাবে চেনেন, ড. খলিলুর রহমান বাণিজ্য বিষয়ে অভিজ্ঞ, এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজেও একজন বড় রপ্তানিকারক হিসেবে বৈশ্বিক বাজার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন।

এসব সমন্বিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশ ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পেরেছে।

প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, বাণিজ্য আলোচনা চলাকালীন বিষয়গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ না করার একটি প্রথা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কিছু মহল রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া যখন আলোচনা করেছে তখন তো কিছুই প্রকাশ করেনি। কিন্তু এখানে আমরা দেখেছি যে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং খুবই ভালো প্রস্তুতি।”

শফিকুল আলম বলেন, “আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যেটা সবার জন্য লাভজনক।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সফল আলোচনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও উন্নত হবে।