রবিবার ১২ অক্টোবর, ২০২৫
সর্বশেষ:
ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশি অপারেটরের হাতে যাচ্ছে তিন বন্দর টার্মিনাল: নৌ সচিব ট্রাম্পের এক ঘোষণায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূলধন উধাও: যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাজারে বড় পতন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের বৈঠক মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ জেপি মরগ্যান সিইও’র সতর্কবার্তা: ৬ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরো ২০৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক সূদের হার কমানো ও রপ্তানি সহায়তা তহবিল বৃদ্ধির তাগিদ: গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই‘র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বৈঠক ইসলামী ব্যাংকের ‘দখল করা শেয়ার’ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরতের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে অগ্রগতি অর্জন করছে

পাঁচ মাসে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশের বিডা

বাংলাদেশে ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।মঙ্গলবার রাজধানীর বিডা অডিটোরিয়ামে বিনিয়োগ বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিডার বিজনেস ডেভেলেপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি এ তথ্য জানান।বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রবাহকে ইতিবাচক প্রবণতা হিসেবে উল্লেখ করে নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর প্রায় ২০ শতাংশ ইতোমধ্যেই অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার মধ্যে রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ এবং বরাদ্দপত্র। এ প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে এবং সরকারের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করছে।তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল বিনিয়োগের পরিমাণ নয়, বরং এর মান ও স্থায়িত্বও নিশ্চিত করা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এবং প্রক্রিয়া আরও সহজতর হলে আগামী পাঁচ মাসে আরও কার্যকর ফলাফল বয়ে আনতে পারে।বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ বর্তমানে অনুসন্ধানী বা যথাযথ যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, প্রাথমিক আলোচনা এবং প্রাথমিক প্রকল্প পরিকল্পনা।রোচি বলেন, এটি বৃহৎ পরিসরের বিনিয়োগের জন্য একটি স্বাভাবিক ধারা। বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ প্রস্তাবই অনুসন্ধানী পর্যায় থেকে শুরু হয় এবং সঠিক সহায়তা পেলে ধীরে-ধীরে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয়। আরও প্রায় ২০ শতাংশ প্রস্তাব এখন গভীর পর্যালোচনায় রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিক নথিপত্রের পূর্ববর্তী ধাপ।কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, এ ধাপভিত্তিক বিনিয়োগ পাইপলাইন আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে পুঁজি প্রবাহের একটি বাস্তবসম্মত চিত্র প্রদান করবে।বেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে বেজা একটি ইউনিফাইড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে বিনিয়োগের অগ্রগতি, জমির প্রাপ্যতা ও অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য এক প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে। এ পোর্টাল বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং প্রশাসনিক ফলোআপের সময় কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি এটি বিনিয়োগের বিভিন্ন ধাপের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা দেবে। যা সরকারি ও বেসরকারি উভয় পক্ষকে আরও কার্যকরভাবে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।টেকসই বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেজা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের সহায়তায় একটি বিশেষ গবেষণা ইউনিট চালু করেছে। এ ইউনিট বর্তমানে রাবার, আসবাবপত্র, ওষুধশিল্প এবং পর্যটনসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করছে।তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রস্তাব পাওয়া উৎসাহজনক হলেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেগুলোকে কার্যকরি প্রকল্পে রূপান্তর করা। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অবকাঠামো প্রস্তুতি ও ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাসস