মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশে আসছে ইন্টারঅপারেবল ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর<gwmw style="display:none;"></gwmw> জার্মান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে টেকসই দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে অবদান রাখছে: আঞ্জা কেরস্টেন, ডেপুটি হেড অব মিশন পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা জামায়াত আমীরের সঙ্গে বৈঠক, শিল্পে স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা কামনা বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কিনে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে বিজিএমইএ-ইউএসটিআর বৈঠক অনুষ্ঠিত: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা কর্মক্ষেত্রে আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান শুরু করলো বেপজা ঢাকায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার’ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ন্যাযতা যাচাইয়ে আইক্যাব ও এফআরসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়ার অবস্থানে নেই বাংলাদেশ: ড. আনিসুজ্জামান

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের পোশাকে নতুন বিধিনিষেধ: নিষিদ্ধ ছোট হাতা ও লেগিং

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি জারি করেছে, যেখানে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক (শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস) এবং লেগিংস পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় পুরুষ ও নারী উভয় কর্মীদের জন্যই নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানের কথা বলা হয়েছে এবং কিছু পোশাক পরিহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা না মানলে তা ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ’ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

পোশাকবিধির বিস্তারিত: পুরুষ কর্মীদের জন্য: পুরুষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট (লম্বা হাতা বা হাফ হাতা) এবং ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরা বাধ্যতামূলক। নির্দেশনায় জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করতে বলা হয়েছে।

নারী কর্মীদের জন্য: নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না অথবা অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব পোশাক অবশ্যই সাদামাটা এবং পেশাদার রঙের হতে হবে। এর সঙ্গে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। তবে শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস (ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক) এবং লেগিংস সম্পূর্ণরূপে পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আচরণ ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত নির্দেশনা:পোশাকবিধি ছাড়াও, নির্দেশনার ১১ নম্বর ক্রমিক নম্বরে কর্মীদের আচরণ ও কর্মপরিবেশ নিয়ে আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে ।

নারী কর্মীদের প্রতি আচরণ (১১ক):বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন, ২০০৩-এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত নারী কর্মীদের প্রতি আচরণের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগগুলো ঘটনার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগ ১-এর নির্দিষ্ট পরিপত্রের মাধ্যমে গঠিত কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার (১১খ):কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানবসম্পদ বিভাগ ২-এর অফিস নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে ইতিবাচক কর্মপরিবেশ (১১গ):একটি ইতিবাচক কর্মপরিবেশ তৈরির জন্য দাপ্তরিক শিষ্টাচার ও আচরণবিধি, যেমন – সততা, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠা, সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ ও আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্মান, সৌজন্যবোধ ও সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি) মেনে চলতে বলা হয়েছে।তদারকি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: গৃহীত সিদ্ধান্তের ১২ নম্বর অনুযায়ী, ১১ নম্বর ক্রমিকের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল এবং ইউনিটভিত্তিক একজন কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। মনোনীত কর্মকর্তা তদারকি করবেন এবং নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দেশনা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ পাঠাবেন।এই নতুন পোশাকবিধি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মপরিবেশে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।