বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

আসন সমঝোতার পথে ৮ ইসলামি দল: জোটের শীর্ষ নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন যেসব আসনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন সহ আটটি সমমনা ইসলামি দলের মধ্যে নির্বাচনি জোট ও সমঝোতা জোরদার হয়েছে। বিভিন্ন দাবিতে অভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির পর এবার দলগুলো একক প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে ‘ইসলামি দলগুলোর ভোট একবাক্সে’ আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, বৃহত্তর স্বার্থে সব দলই সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত। সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে প্রার্থীর মাঠের শক্ত অবস্থান এবং শীর্ষ নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে আসন বণ্টন করা হবে।

শীর্ষ নেতাদের সম্ভাব্য আসন:এই আট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বিভিন্ন আসনে নির্বাচন করার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম অবশ্য প্রার্থী হচ্ছেন না। কিন্তু অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সম্ভাব্য আসন নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • জামায়াতে ইসলামী (দাঁড়িপাল্লা): আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫), সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান (রাজশাহী-১), ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১)।
  • ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা): নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (বরিশাল-৫), মাওলানা আব্দুল আওয়াল (খুলনা-৩), সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী (ঢাকা-৪), মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ (খুলনা-৪)।
  • বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা): দলটির আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক-এর জন্য ঢাকা-১৩, ঢাকা-৭ এবং বাগেরহাট-১ আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে।
  • খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ): আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী (ঢাকা-৭)।
  • খেলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি): আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ (হবিগঞ্জ-২), মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জ-৪)।

জরিপ ও সমঝোতার কৌশল

আট দলের মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আসন সমঝোতা নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা চলছে। “প্রত্যেক দল নিজস্ব উদ্যোগে জরিপ করছে। এসব তথ্য একত্রে নিয়ে বসলে সম্ভাবনাময় প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে,” বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কাঙ্ক্ষিত আসন সংখ্যা বেশি হলেও আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন একই সুরে বলেন, “মাঠের গ্রহণযোগ্যতা দেখে একক প্রার্থী ঠিক করা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ ছাড়ের মানসিকতা আছে। ইনশাআল্লাহ আমরা সরকার গঠনের টার্গেট নিয়েই এগোচ্ছি।”

নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইযহার জানান, গত শুক্রবারের বৈঠকে আসন সমঝোতার বিষয়ে খসড়া আলোচনা হয়েছে এবং বিভাগীয় মহাসমাবেশ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

অন্যান্য দলের প্রস্তুতি

খেলাফত মজলিস (২৫৮ আসনে প্রার্থী), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (২৭৪ আসনে প্রার্থী) এবং ইসলামী আন্দোলন (প্রায় সব আসনে প্রার্থী) নিজেদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল বলেন, দেশবাসীও চাইছে ইসলামি দলগুলোর ভোট একত্রিত হোক।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মুহা. নিজামুল হক নাঈম ভোলা-৩ আসন থেকে এবং জাগপার সহ-সভাপতি প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান পঞ্চগড়-১ ও ২ আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে, ইসলামি দলগুলো তাদের ভোট একত্রিত করে জাতীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে কৌশল সাজাচ্ছে।