নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: চট্টগ্রামের ওয়ার সিমেট্রি থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ১৮ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ উত্তোলন (Exhumation) ও স্বদেশে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জাপান সরকারের মনোনীত ১০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ১৭ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করে এই উত্তোলনের কাজ করে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কর্তৃপক্ষ পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করে।
সোমবার সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তোলন কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও কারিগরি নেতৃত্বে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খনন বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), বীর প্রতীক।
দেহাবশেষ উত্তোলনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় (Full Military Honour) গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেহাবশেষগুলো জাপানে প্রত্যাবাসন করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালে জাপান সরকারের অনুরোধে কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৩ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ একইভাবে উত্তোলন ও প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল।