বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য, শোভন কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে : শ্রম উপদেষ্টা

ঢাকা (বাসস): শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন অধিকতর সহজীকরণ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রেখে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য, শোভন কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং আইএলও ঢাকা অফিসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৫তম গভর্নিং বডির সভায় যোগদানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই সভার আয়োজন করে।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করেছে। কনভেনশনগুলো হলো— শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) সম্পর্কিত কনভেনশন নম্বর ১৫৫ ও ১৮৭ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ সম্পর্কিত কনভেনশন নম্বর ১৯০।

তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই অনুমোদনের দলিলগুলো স্বাক্ষর হয়েছে এবং খুব শিগগিরই সেগুলো আইএলও মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি এই অর্জনকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ এর অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন আইএলওর ১০টি মৌলিক কনভেনশনের সবকটিই অনুমোদনকারী দেশে পরিণত হলো। কনভেনশন ১৯০ এর অনুমোদন কর্মক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় উপদেষ্টা আরও জানান, শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলার পুনরাবৃত্তি রোধ ও অপরাধের জন্য বর্ধিত শাস্তিসহ প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির কাজ চলছে।

সাতটি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি অনলাইন মামলা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। শ্রম খাতে ডিজিটালাইজেশন এবং একটি সমন্বিত শ্রমিক ডেটাবেজ তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি অনুমোদন হওয়া শ্রম আইন ২০০৬-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ শিগগিরই গেজেটে প্রকাশিত হবে, যা শ্রমিকের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।

নৌপরিবহন বিষয়ক অংশে উপদেষ্টা ২০২৬-২৭ মেয়াদে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি ‘সি’ এর সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন এবং উপস্থিত দেশগুলোর দূতাবাসের কাছে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।

সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আইএলওর প্রতিনিধিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর সংশোধনী অধ্যাদেশ অনুমোদন এবং আইএলও’র তিনটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।