রবিবার ২৪ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ৩০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করেছে স্পেসএক্স ছেড়ে এবার আর্থিক খাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৭০% আসে ১০ দেশ থেকে, বাড়ছে ঝুঁকি দুর্বল ব্যাংকে আটকা পড়েছে বিপিসি ও পেট্রোবাংলার ৩ হাজার কোটি টাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগে আগ্রহী বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আত্মবিশ্বাসী সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দন্ডনীয় বিমান টিকিটে এজেন্সির নাম এবং ভাড়া উল্লেখ করতে হবে: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

স্পেসএক্স ছেড়ে এবার আর্থিক খাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী

ঢাকা: মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রযুক্তি ও আর্থিক জগতে নতুন এক মাইলফলক স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী। ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সে দুই বছর কাজ করার পর এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটাডেল সিকিউরিটিজে ‘কোয়ান্ট ডেভেলপার’ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন।

১৪ বছর বয়সে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রকৌশলীদের একজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কাইরান। এরপর তিনি ইলন মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্পে কাজ শুরু করেন, যেখানে তার কাজ ছিল জটিল প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।

অসাধারণ মেধা ও শিক্ষাজীবন

কাইরান কাজীর বাবা একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং মা আর্থিক খাতের পেশাজীবী। ছোটবেলা থেকেই তার গণিত এবং প্রযুক্তির প্রতি ছিল গভীর আগ্রহ। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি লাস পোসিটাস কলেজ থেকে গণিতে অ্যাসোসিয়েট অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।২০২৩ সালে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করে কাইরান ইতিহাস গড়েন। তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েটেড স্টুডেন্ট গভর্নমেন্টের সিনেটর হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

পেশা জগতে নতুন চ্যালেঞ্জ, স্পেসএক্সে মহাকাশ প্রকৌশলের কাজ শেষে কাইরান এখন আর্থিক প্রযুক্তি খাতে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে যাচ্ছেন। সিটাডেল সিকিউরিটিজে তিনি প্রকৌশল এবং পরিমাণগত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কাজ করবেন। তার লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক ট্রেডিং ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ট্রেডার ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে সহযোগিতা করা।

কাইরান জানিয়েছেন, তার অসাধারণ দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও বয়সের কারণে তাকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তার যোগ্যতার চেয়ে বয়সকে বেশি গুরুত্ব দিত, যা একটি বিস্তৃত সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে।

কাইরানের মতে, পেশাগত খাতে বয়স বা অভিজ্ঞতার প্রচলিত ধারণার চেয়ে দক্ষতা ও সম্ভাবনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।কাইরান কাজী শুধু একজন প্রতিভাবান নন, বরং একজন পথপ্রদর্শকও। তিনি প্রমাণ করেছেন, দৃঢ় সংকল্প, কৌতূহল এবং মেধার মাধ্যমে কম বয়সেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।