ঢাকা, ঝুন ১৭: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কালশি গণহত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। মঙ্গলবার (১৭ই জুন) রাজধানীর পল্লবীতে কালশি গণহত্যায় বিচারহীনতার প্রতিবাদে এবং সাবেক ফ্যাসিস্ট এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছিলেন কালসি ট্রাজেডিটে ফ্যাসিস্ট দের দেয়া আগুনে স্বজন হারানো কিশোরী ফারজানা।
এসময় আমিনুল হক বলেন, ইতিহাসের এই নৃশ্যংসতম গণহত্যার সাথে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে স্বজন হারানো ফারজানার পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, বিহারী নেতাদের নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গাইবি মামলা দেয়া হয়েছিল। স্বৈরাচার পালানোর পরও ভূমি দস্যুরা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বিহারি নেতা সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ই জুন আমাদের ক্যাম্পের একটি বাড়িতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুনে পুড়ে ফারজানার পুরো পরিবার মারা যায়। ফারজানার শরীরও ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। এই ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে তার বাবা ইয়াসিনকেও হত্যা করা হয়। আগুনে পুড়তে থাকা মানুষদের বাঁচাতে এসে আজাদ নামের এক যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তবে হয়ত কালশি হত্যার বিচার দেখার জন্য আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এসময় এই গণহত্যার সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লাহ ও পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমাবেশে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মন্টু,বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মিজান, পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, আনিছুর রহমান, উর্দুভাষীদের সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএম এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু, পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান সোহেলসহ আরো অনেকে।