ঢাকা, ২১শে এপ্রিল:- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে, বাংলাদেশের ট্যাক্স প্রণোদনা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ আনুমানিক ২,২৬,২৩৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
বাংলাদেশের পুরো আর্থিক খাত ডিজিটাল না করার কারণে কর ফাঁকির এই অবস্থা দাড়িয়েছে।
সোমবার (এপ্রিল ২১) ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে ‘উত্তরণশীল বাংলাদেশে কর্পোরেট আয়কর সংস্কার’ শীর্ষক একটি ব্রিফিংয়ে গবেষণা সংস্থাটি এই তথ্য জানায়।
সিপিডি’র গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৫০ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স ফাঁকির মাধ্যমে হারিয়েছে। ২০২৩ সালে আনুমানিক কর্পোরেট ট্যাক্স ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১১৩,১১৮ কোটি টাকা।
কর্পোরেট আয়করের বৈশ্বিক প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হ্রাস পেয়েছে, যা ২০০৬ সালে ২৭.৫ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে প্রায় ২৩.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ ২৫%, ৩০% বা তার বেশি হারে স্ট্যান্ডার্ড কর্পোরেট আয়কর বজায় রাখে; উদাহরণস্বরূপ, চীনের কর্পোরেট আয়করের হার ২৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ২৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ২২ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ২২ শতাংশ।
তবে, কিছু উন্নয়নশীল দেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কম কর্পোরেট আয়করের হার প্রদান করে, যেমন ওমান এবং উজবেকিস্তান ১৫ শতাংশ এবং প্যারাগুয়ে ও কিরগিজস্তান ১০ শতাংশ।
উন্নয়নশীল দেশ এবং এলডিসি কান্ট্রি গ্রুপের ট্যাক্স কাঠামো
দেশ কর্পোরেট আয়করের হার বৈশ্বিক প্রবণতা (২০০৬-২০১৬)
২৭.৫% (২০০৬) থেকে ২৩.৬% (২০১৬)
উন্নয়নশীল দেশ ২২%-২৯%
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ১০%-৩৫%
উত্তরণশীল এলডিসি ২১%-৩৫%