বুধবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
বিএপিএলসির সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ঢাবিতে চার দিনব্যাপী বিআইআইটি-আইআইআইটি উইন্টার স্কুল শুরু চলতি বছরে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানি ১০ লক্ষাধিক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের ইন্তেকাল: বিআইআইটি-এর শোক নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণে বিঘ্নের আশঙ্কা নেই: সালেহউদ্দিন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক শ্রম সংস্কার, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ ফরেন এক্সচেঞ্জ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১৩ ব্যাংক থেকে ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক বিজিএমইএ এর স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সম্প্রসারণ: আরও ৪টি হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর মিরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা কোম্পানির ১০.৩২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ

প্রধান উপদেষ্টা বেইজিং সফর, ২.১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেল বাংলাদেশ

ঢাকা, ২৮ মার্চ:-চীন সরকার এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের জন্য ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুক্রবার কর্মকর্তারা এই তথ্য প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে “উল্লেখযোগ্য মাইলফলক” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই সফরের সময়ই, চীনা সরকার ও কোম্পানিগুলো থেকে বাংলাদেশ এই আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি লাভ করে।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানান, অধ্যাপক ইউনূস বেসরকারি চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এর ফলস্বরূপ, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বিশেষায়িত চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে।

চীন, মংলা বন্দরের আধুনিকীকরণে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অবশিষ্ট অর্থ অনুদান এবং অন্যান্য ঋণ হিসেবে প্রদান করা হবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের দ্বিপাক্ষিক চীন সফর সম্পর্কে বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।”

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী মনে করেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ “অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে”।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়, অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য “সবুজ সংকেত” দেওয়ার অনুরোধ জানান।

আশিক চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং চীনা কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বাংলাদেশে স্থানান্তরে উৎসাহিত করবেন, কারণ তারা তাদের উৎপাদন গন্তব্য বহুমুখী করতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, “এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

শুক্রবার, অধ্যাপক ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি কোম্পানি সহ ১০০টিরও বেশি চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে উৎপাদন, বিশেষত উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য অবহিত করেন। বেইজিংয়ে তিনটি আলোচনা সভায় তারা বক্তব্য রাখেন। “এখন পর্যন্ত, প্রতিক্রিয়া খুবই ইতিবাচক,” তারা জানান।