মঙ্গলবার ১৫ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ:
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাসুদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা শেয়ারবাজারে দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে, মানুষের আস্থা ফেরাতে দরকার সরকারি উধ্যোগ:সাবেক মন্ত্রি আমীর খসরু<gwmw style="display:none;"></gwmw> সরকার যখন বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে, তখন পুঁজিবাজার আস্থা অর্জন করবে: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায়: বিশ্বব্যাংক বিজিএমইএ এবং আইবিসিভূক্ত শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভায় পোশাকশিল্পে সুষ্ঠূ ও স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ বজায় রাখতে অঙ্গীকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আষাঢ় পার্বণ’ উৎসব উদযাপিত নিউ মুরিং টার্মিনালে দৈনিক গড় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম প্রায় ৩ টাকা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি টাকা শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে আমদানি-রপ্তানি লেনদেনের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে ইউআরসি অনুসরণের নির্দেশ

শেয়ারবাজারে দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে, মানুষের আস্থা ফেরাতে দরকার সরকারি উধ্যোগ:সাবেক মন্ত্রি আমীর খসরু

ঢাকা, ১৪ জুলাই: শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে, এখান থেকে বের  হতে হলে দরকার সরকারি কোম্পানি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ সগ্রহ করা, তাহলে শক্তিশালী সুপারভিশনের কারণে  বিনিয়োগ কারীদের আস্থা  তৈরি হবে।

আবার শেয়ারবাজারে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলে সেটি বিনিয়োগ বান্ধব হয় না। এ জন্য দরকার ইনস্টিটিউশনগুলোর স্বাধীনভাবে সেলফ রেসপনসিবিলিটি মধ্যে থেকে ভূমিকা পালন করতে পারা ।

আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতারও ঘাটতি রয়েছে। এটি শুধু শেয়ারবাজারে নয়; পুরো আর্থিক খাতেই এমন চিত্র রয়েছে। শুধু তাই নয় আমাদের অর্থনীতিতে গনতন্ত্রনায়ন করতে হবে। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রনায়ন ছাড়া আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। আমরা এখন সে পথেই হাটছি। বিএনপির শাসন আমলে শেয়ারবাজার কিংবা আর্থিক খাতে কোন রকম স্কেমের ঘটনা ঘটেনি। অথচ বিগত সরকার দেশের আর্থিক খাতকে ধংসের দ্বাপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

আজ সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউস মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) আয়োজিত পুঁজিবাজারবিষয়ক এক কর্মশালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান, পুঁজিবাজার প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মানিক মুনতাসির ।

আমীর খসরু আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হবে না। অতীতেও বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে তখন ব্যাংক ধসে যায়নি এবং পুঁজিবাজারে লুটপাট হয়নি।

ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত সরকারি অনেক ভূমিকা বাণিজ্য সংগঠনের কাছে দেওয়া হবে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, আগে তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানির প্রাপ্যতার অনুমোদন (ইউডি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে নেওয়া লাগত। এতে আমদানিকারকদের দীর্ঘ সময় লাগত, নানা জটিলতায় পড়তে হতো। কিন্তু আমি যখন বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন এই অনুমোদনের বিষয়টি তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর কাছে দিয়ে দিই। এতে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে যায়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতিকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আপনি শুধু রাজনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করবেন, আর অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ণ করবেন না, তাহলে সেটি ঠিকভাবে কাজ করবে না। ফলে এটা আমাদের (বিএনপির) অন্যতম একটি লক্ষ্য যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অবশ্যই গণতন্ত্রায়ণ করতে হবে।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ণ না হলে তাতে মানুষের অংশগ্রহণ ও আস্থা বাড়বে না। এর ফলে অর্থনীতিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় না। বরং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে যে যার জায়গা থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের শেয়ারবাজার খুবই অগুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে শেয়ারবাজার ঠিক করতে হলে একধরনের সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এসইসি, ডিএসই, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে একত্রে সংস্কার কাজ করতে হবে; তাদের ভেতর সমন্বয় থাকতে হবে। খারাপ যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সার্বিকভাবে এসব উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে বিএনপি সরকারে গেলে শেয়ারবাজারকে আমরা ধারণ করব। কারণ, যারা দেশ পরিচালনা করবে, তারা ধারণ করা ছাড়া পুঁজিবাজারের সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন,  রেগুলেশনকে আরও বাজারমুখি করতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাজার কখনোই রিলেভ্যান্ট ভূমিকা পালন করতে পারেন নাই। দেশের অর্থনৈতিক কোন সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজার থাকেনা। তবে এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের বাজারে নতুন কোন ভালো শেয়ার নেই। গত ৯ মাসে মাত্র ১ টা কোম্পানি বাজারে এসেছে। এছাড়াও বিগত সরকারের কয়েক বছরে যে পরিমাণ কোম্পানি বাজারে এসেছে তা যথেষ্ট নয়। এরপরেও বাজারের উন্নয়ন হয়েছিলো। যেটুকু হয়েছিলো তা নানা ভাবে মেনিপুলেশনের মাধ্যমে নষ্ট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন