বুধবার ১৩ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা $৬৩.৫ বিলিয়ন নির্ধারণ রেকর্ড ৩৯,০০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা: স্থলপথে ৪ ধরনের পাটপণ্য রপ্তানি বন্ধ, শুধু মুম্বাই বন্দর খোলা আয়কর রিটার্ন দাখিল: ৫ শ্রেণির করদাতাকে ছাড়, অন্যদের জন্য বাধ্যতামূলক ইসলামী ব্যাংকগুলোর একীকরণ: অর্থনীতিবিদদের সাধুবাদ, তবে চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সতর্কতা পোশাক খাতে সহযোগিতা নিয়ে কেমার্ট ও বিজিএমইএ’র আলোচনা বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪০.০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে চীনা কাইক্সি গ্রুপ বাংলাদেশ ব্যাংক ১২ আগস্ট নতুন ১০০ টাকার নোট প্রকাশ করবে বিশেষায়িত অঞ্চলে রপ্তানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের নিয়ম শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক

রেকর্ড ৩৯,০০০ কোটি টাকার কৃষিঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা, ১২ আগস্ট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আজ কৃষি ও পল্লী ঋণের রেকর্ড ৩৯,০০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় ২.৬৩ শতাংশ বেশি।

কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই বিশাল অঙ্কের ঋণ বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই নতুন কৃষিঋণ নীতি ঘোষণা করেন।

নতুন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ১৩,৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ২৫,১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

গভর্নর মনসুর বলেন, সময়মতো ঋণ পাওয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এই নীতি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপগুলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রামীণ আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে “ম্যাক্রো-ইকোনমিক ব্যবস্থাপনায় একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে”।

নতুন নীতির মূল উদ্ভাবনসমূহ:

ডিজিটাল রূপান্তর: উন্নত পর্যবেক্ষণের জন্য ‘ওয়েব-ভিত্তিক কৃষি-ঋণ এমআইএস সফটওয়্যার’ চালু করা হচ্ছে।এসডিজি’র সঙ্গে সংগতি: জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর সঙ্গে এই নীতির স্পষ্ট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

খাতভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা: প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণের অংশ ২০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং সেচ ও সরঞ্জাম কেনার জন্য ২ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নতুন ফসল অন্তর্ভুক্তি: কাঁঠাল, বিটরুট, কচু, কালোজিরা এবং বস্তায় আদা-রসুন চাষের জন্য ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কৃষকদের জন্য প্রণোদনা: ব্যাংকগুলো সময়মতো ঋণ পরিশোধকারী কৃষকদের পুরস্কৃত করবে এবং কৃষকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালাবে।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে উৎসাহ: গ্রামীণ ঋণ বিতরণ দ্রুত করতে ব্যাংকগুলোকে এজেন্টদের সঙ্গে মুনাফা ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য হ্রাস: ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য সিআইবি (CIB) রিপোর্টের সার্ভিস চার্জ মওকুফ করা হয়েছে এবং ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে ঋণের জন্য কাগজপত্র সহজ করা হয়েছে।এই নীতি অনুযায়ী, শস্য, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজের (contract farming) প্রসার ঘটানো হবে।

এছাড়া, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ‘ক্রপ জোনিং’ তথ্য ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ±২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের পরিমাণ সমন্বয় করতে পারবে।