ঢাকা, ২২ মে: দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সহ সকল বাণিজ্য সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা এবার ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত হবেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্ষদের মেয়াদ হবে চব্বিশ মাস। উল্লেখযোগ্যভাবে, টানা দু’বার নির্বাচিত হলে একবারের জন্য নির্বাচনে বিরতি দিতে হবে।এমন গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী সংযোজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘সংশোধিত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫’-এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।
এই নতুন বিধিমালা এবং এফবিসিসিআইতে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াকে সাদরে গ্রহণ করেছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ (এফবিসিসিআই)।আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এই নতুন বিধিমালাকে স্বাগত জানিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যবসায়িক সংগঠনে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ (এফবিসিসিআই)। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির সদস্যসচিব মো. জাকির হোসেন, এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন নয়ন উল্লেখ করেন, “গত ৩১ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী বিধিমালা প্রণয়ন। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এই নতুন বিধিমালা আগামী দিনগুলোতে এফবিসিসিআই সহ দেশের সকল বাণিজ্য সংগঠনের স্বকীয়তা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলস্বরূপ, দেশের ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।”জাকির হোসেন নয়ন আরও যোগ করেন, “নতুন বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা হবে ৪৬ জন।
দেশের বিভিন্ন চেম্বার থেকে ১৫ জন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও, বিনিয়োগের পরিমাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বার্ষিক রাজস্ব প্রদানের ভিত্তিতে একটি মহিলা চেম্বারসহ ৬টি চেম্বার এবং একটি মহিলা অ্যাসোসিয়েশনসহ ৬টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যপদ লাভ করবেন। পর্ষদে নারীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আমাদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল।”বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের (এফবিসিসিআই) আহ্বায়ক আরও বলেন, “বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন চেম্বার এবং পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের জন্য সভার আয়োজন করেছি। এই সভাগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আমাদের ১২ দফা সুপারিশ এফবিসিসিআই প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে ৬ থেকে ৭টি সুপারিশ নতুন বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সংস্কারে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তাই এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সাইদা আক্তার, নোয়াখালী চেম্বারের সভাপতি আবদুল মতিন এবং রাঙামাটি চেম্বারের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া।