সোমবার ৫ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:
আসন্ন বাজেটে ব্যবসা বান্ধব নীতি প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পুনঃস্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি কোরবানির পশুর দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি রোধে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ প্রবাসীরা এপ্রিলে বাংলাদেশে ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৬টি তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে ১৯টি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমোদন পায়নি ঈদ-উল-আযহার আগে নতুন ডিজাইনের নোট ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাবিতে ‘কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরকার গত ১৬ বছরে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইবে: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

ঢাকা, এপ্রিল ৩০: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে আমাদের পোর্টগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আমরা যে ইনভেস্টমেন্ট হাবের কথা বলছি তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করতেই হবে।’

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি জানান বর্তমানে চালু থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন ইউনিট ও মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম। এগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন ও ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি জানান, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদীয়া কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হয়ে গেলে পাঁচ মিলিয়নের বেশি ইউনিট হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি তৈরি হবে বাংলাদেশের।

বিদেশি বিনিয়োগে লালদীয়া বন্দরের কাজ দ্রুত শেষ কারার ক্ষেত্রে সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ অগাস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।

আরও পড়ুন