রবিবার ১২ অক্টোবর, ২০২৫
সর্বশেষ:
ট্রাম্পের এক ঘোষণায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূলধন উধাও: যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাজারে বড় পতন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের বৈঠক মিরসরাই ইকোনমিক জোনসহ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ জেপি মরগ্যান সিইও’র সতর্কবার্তা: ৬ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধস নামতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরো ২০৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক সূদের হার কমানো ও রপ্তানি সহায়তা তহবিল বৃদ্ধির তাগিদ: গভর্নরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এফবিসিসিআই‘র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বৈঠক ইসলামী ব্যাংকের ‘দখল করা শেয়ার’ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরতের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সুসংবাদ: ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষকেরা পাচ্ছেন ১০ম গ্রেড

ইসলামী ব্যাংকের ‘দখল করা শেয়ার’ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরতের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম

ইসলামী ব্যাংকের ‘দখল করা শেয়ার’ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরতের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম

-ঢাকা : ব্যাংক কর্তৃক ‘ব্লক’ করে রাখা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর শেয়ারগুলো অবিলম্বে ব্যাংকটির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম।

পাশাপাশি, কথিত পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনা এবং ব্যাংকের ভেতরে হওয়া সমস্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে এই সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি তোলেন।ফোরামের সদস্য সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার (BARVIDA) সভাপতি আবদুল হক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ. ন. ম. আতাউল্লাহ নাঈম, নিউ অটো গ্যালারির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম আলম এবং শিল্পোদ্যোক্তা আল মামুন।

জোরপূর্বক দখল ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি একটি “বিশেষ বাহিনী” ব্যবহার করে এস আলম গ্রুপ জোরপূর্বক ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হওয়ার জন্য শেয়ারের ওপর ২ শতাংশ ধারণের একটি “অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবিরোধী” শর্ত চাপিয়ে দেয়।

বক্তাদের দাবি, এই শর্তটিই প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে শেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবসায়ী ফোরাম এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে যে, ব্যাংক দখলের পর তারা পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে এবং নিজেদের পছন্দের লোকজনকে শীর্ষ পদে বসিয়ে “লুটপাট” শুরু করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা এস আলম গ্রুপের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে, সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে দেশে একটি কৃত্রিম ডলার সংকট তৈরি হয়েছে।” অবৈধ নিয়োগে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ।

বলে ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপ চট্টগ্রাম ও পটিয়ার কয়েক হাজার অর্ধশিক্ষিত ও অযোগ্য লোককে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ব্যাংকে নিয়োগ দিয়েছে, যাদের অনেকেরই ভুয়া সার্টিফিকেট রয়েছে।

এই কারণে ব্যাংকের সেবার মান এবং পেশাদারিত্বে মারাত্মক ধস নেমেছে বলে তারা মনে করেন।বক্তাদের হিসাব অনুযায়ী, ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ এবং এই অবৈধ নিয়োগের কারণে ব্যাংকটির প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। সে হিসেবে গত সাত বছরে (২০১৭ থেকে ২০২৪) ব্যাংকটির প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

কর্মসূচি ও দাবি :ব্যবসায়ী নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের যদি আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যেই বহিষ্কার করা না হয়, তবে তারা ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।তারা অবিলম্বে সারা দেশের মেধাবী তরুণদের মাধ্যমে নতুন নিয়োগ দেওয়া এবং ব্যাংকটির মালিকানা পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।