বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

দেশের প্রথম ডিজিটাল অর্থনৈতিক আদমশুমারির (২০২৪) নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত: বিআইডিএস

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাক: বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল অর্থনৈতিক আদমশুমারি (EC) ২০২৪-এর ফলাফল অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে বিআইডিএস।

সম্প্রতি পরিচালিত একটি পোস্ট এনুমারেশন চেক (PEC) বা জরিপ পরবর্তী যাচাইয়ে এই আদমশুমারির তথ্যের উচ্চ সামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার বিআইডিএস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত “অর্থনৈতিক আদমশুমারি, ২০২৪-এর জরিপ পরবর্তী যাচাই (PEC)-এর ফলাফল প্রকাশ সেমিনার”-এ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এই ফলাফল সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ব্যবহৃত তথ্যের উপর আস্থা বাড়াবে।

উচ্চ সামঞ্জস্য, কম কভারেজ ত্রুটিগত বছর ১০-২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে পরিচালিত চতুর্থ অর্থনৈতিক আদমশুমারির (EC) তথ্য যাচাই করার জন্য ২৮ জুন থেকে ১০ জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত এই পিইসি পরিচালিত হয়।পিইসি-এর মূল ফলাফল অনুযায়ী, অর্থনৈতিক আদমশুমারি এবং স্বতন্ত্র পোস্ট এনুমারেশন চেকের ফলাফলের মধ্যে উচ্চ সামঞ্জস্য রয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কভারেজ ত্রুটি কম রয়েছে এবং কোনো প্রকার পদ্ধতিগত ত্রুটির (Systematic Bias) অনুপস্থিতি নিশ্চিত করে যে ইসি ডেটা জাতীয় অর্থনীতির একটি নির্ভরযোগ্য চিত্র তুলে ধরে।

প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটার মানোন্নয়নপ্রতিবেদনে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ডেটার মান উন্নত করতে সহায়তা করেছে:

উন্নত তালিকাভুক্তি: প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি উন্নত তালিকা ব্যবহারের ফলে তথ্যে বাদ পড়ার ঝুঁকি (Omission Risks) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডেটা সংগ্রহের পাশাপাশি এতে অন্তর্নির্মিত মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল, যা রিপোর্টিং ত্রুটিগুলো কমিয়ে এনেছে এবং সুপারভাইজারদের দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করেছে।

উন্নতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকভারেজ নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণিত হলেও, পিইসি কমিটি কিছু মূল বৈশিষ্ট্য, যেমন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা, মূলধন এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্যে মাঝারি মাত্রার বিষয়বস্তুগত ত্রুটি (Content Errors) চিহ্নিত করেছে। তবে, এই অসঙ্গতিগুলি ছিল এলোমেলো, পদ্ধতিগত নয়, যা ইঙ্গিত করে যে সামগ্রিক সংকলিত তথ্য এখনও শক্তিশালী।

ভবিষ্যতে ডেটার মান আরও বাড়ানোর জন্য পিইসি কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে:

নির্দিষ্ট ফোকাস: ভবিষ্যতে যাচাইয়ের জন্য অনানুষ্ঠানিক, সেবা খাত এবং শহুরে প্রতিষ্ঠানগুলির উপর বেশি নজর দিতে হবে, কারণ পরিসংখ্যানগতভাবে এই ক্ষেত্রগুলিতে কভারেজ ত্রুটির প্রবণতা বেশি থাকে।

দ্রুত বাস্তবায়ন: আদমশুমারি শেষ হওয়ার পর দ্রুততম সময়ে, আদর্শগতভাবে তিন মাসের মধ্যে পিইসি ফিল্ড অপারেশন পরিচালনা করা উচিত।

আধুনিক পদ্ধতি: প্রতিবেদনে জিআইএস এবং ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহার করে গণনা এলাকার (EA) সীমানা ট্র্যাক করার এবং বৈশ্বিক উত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোস্ট এনুমারেশন সার্ভে (PES)’ পরিভাষাটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ডিজিটাল অর্থনৈতিক আদমশুমারির এই সফল যাচাইকরণ নীতি নির্ধারক, গবেষক এবং উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য একটি শক্তিশালী, নির্ভরযোগ্য ভিত্তি তৈরি করেছে।