বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা: ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার লেটার (বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-২৬) জারি করা হয়েছে।
পূর্বে জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৭/২০২৫-এর কয়েকটি অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপন করে নীতিগত সহায়তার মেয়াদ ও শর্তে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে ।
নীতি সহায়তার মূল পরিবর্তনসমূহ
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ পুনঃতফসিল, পুনর্গঠন এবং এক্সিট সুবিধার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো কার্যকর হবে:
১.
বিশেষ পুনঃতফসিলজনিত সুবিধা
- ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিরূপমানে (SS, DF, B/L) শ্রেণিকৃত ঋণসমূহের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ০২ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে ।
২.
বিশেষ পুনর্গঠনজনিত সুবিধা
- অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণসমূহের (ইতঃপূর্বে পুনঃতফসিলকৃত ঋণসহ) ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৬/২০২২ এ বর্ণিত মেয়াদের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বছর মেয়াদ নির্ধারণ করে পুনর্গঠন করা যাবে ।
৩.
বিশেষ এক্সিটজনিত সুবিধা
- বিশেষ এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৩/২০২৪-এ বর্ণিত হারে ডাউনপেমেন্ট গ্রহণপূর্বক উক্ত সার্কুলারে বর্ণিত মেয়াদের অতিরিক্ত ০১ (এক) বছর সময় প্রদান করা যাবে ।
- বার্ষিক আদায়কৃত কিস্তির পরিমাণ মোট ঋণের ২০% এর কম হতে পারবে না ।
- এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণসমূহ Exit(SMA) মানে প্রদর্শন করতে হবে ।
- সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিদ্যমান ঋণ সুবিধা ব্যতীত কোনো নতুন ঋণসুবিধা প্রদান করা যাবে না ।
- ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পরিশোধসূচি মোতাবেক ০৩টি মাসিক বা ০১টি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ঋণগ্রহীতা ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণহিসাব যথানিয়মে শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে ।
এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে