বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট পরিবারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এই বিপুল অর্থ তুলে নেওয়ার পরও জনগণের আস্থার কারণেই ব্যাংকটি শেষ পর্যন্ত টিকে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ফাইন্যান্স সামিট ২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন।

সুশাসন ও আইনের ওপর জোর

গভর্নর বলেন, দেশের ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে টেকসই ও শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে উন্নত হিসাবরক্ষণ, সুশাসন এবং উচ্চমানের অডিটিং প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী ও প্রচলিত—উভয় ধরনের ব্যাংককেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে উচ্চমানের অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে।

ড. মনসুর আরও জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমানে একটি আধুনিক ইসলামী ব্যাংকিং আইন প্রণয়নে কাজ করছে, যেখানে বৈশ্বিক সেরা অনুশীলনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

অস্থিরতা কেটে স্থিতিশীলতার পথে খাতটি

সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, সামগ্রিকভাবে ইসলামী ব্যাংকিং খাত এখনও শক্ত অবস্থানে আছে এবং আমানতকারীর আস্থা ফিরতে শুরু করেছে।

আইবিবিএল-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একসময় তীব্র তারল্য সংকটের মুখোমুখি হওয়া ব্যাংকটি এখন স্থিতিশীল হয়েছে এবং এ বছর ইসলামি ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ আমানত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

গভর্নর জানান, তারল্য সংকটে থাকা ইসলামী ব্যাংকগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

তিনি বলেন, “আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্সশিট আরও শক্তিশালী হোক, পরিশোধিত মূলধন বাড়ুক এবং পরিচালনা পর্ষদে যোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা থাকুন।”

গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, সুশাসিত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং খাত দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখবে।