নিউজ ডেস্ক: তৈরি পোশাক ও বস্ত্রজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়ার নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে সরকার।
এখন থেকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি সাব-কন্ট্রাক্টিং প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতেও সরকার নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা দেবে। তবে এই সুবিধা পেতে রপ্তানিকারকদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত অবশ্যই পরিপালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
শর্ত সাপেক্ষে কারা পাবেন সুবিধা?*
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, নগদ সহায়তা পাওয়ার প্রধান শর্ত হলো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব সচল কারখানার মালিক হতে হবে।*
সুবিধাভোগী: যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সচল কারখানা আছে, তারা সাব-কন্ট্রাক্টিং প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত তৈরি পোশাক বা বস্ত্রসামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট এফওবি (FOB) মূল্যের ওপর নগদ সহায়তা পাবেন।
নিয়ম মানতে হবে:সাব-কন্ট্রাক্টিং প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ‘তৈরি পোশাক শিল্পে সাব-কন্ট্রাক্টিং গাইডলাইন-২০১৯’এবং ‘সরাসরি রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান (ওয়্যারহাউজ পদ্ধতির আওতায় সাময়িক আমদানি, ওয়্যারহাউজ পরিচালনা ও কার্যপদ্ধতি) বিধিমালা, ২০২৪’— এই দুটি নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
হার ও ব্যতিক্রম: নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের জন্য প্রযোজ্য একই হারে প্রণোদনা মিলবে। তবে, উৎপাদনে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় এমন ট্রেডার বা কোম্পানি এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবে না। বস্ত্রখাতে নগদ সহায়তার অন্যান্য বিদ্যমান সব নিয়ম এক্ষেত্রে বলবৎ থাকবে।
রপ্তানি বৃদ্ধি ও মার্কিন বাজারে প্রভাব বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এই নতুন উদ্যোগের বিষয়ে সমকালকে জানান, রপ্তানি বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত
‘ফার্স্ট সেলস ফ্রেমওয়ার্ক’ র আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকে আরও সহজ ও লাভজনক করবে, যা সামগ্রিকভাবে দেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।