ঢাকা: প্রান্তিক কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের, সবুজ দক্ষতা (Green Skills) ও উদ্যোক্তা দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করতে একটি নতুন অংশীদারিত্ব চুক্তি ঘোষণা করেছে সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ। এই পাইলট প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘Skills4Youth’।
সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্বটি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাশরুর আরেফিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান এবং ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রশিক্ষণের সুযোগ
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, যেমন বাগেরহাটের কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা, বিশেষ করে মেয়েরা, বাজার-সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোগের সাথে শিক্ষানবিশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
এই কর্মসূচিতে ব্যবহারিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিমাপযোগ্য শিক্ষার সুযোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা তরুণরা টেকসই জীবিকা ও সহনশীল সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
নেতৃস্থানীয়দের বক্তব্য
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রতিটি শিশু ও যুবকের স্বপ্ন দেখা, শেখা এবং উন্নতি করার সুযোগ পাওয়া উচিত। সিটি ব্যাংকের সাথে এই অংশীদারিত্ব কেবল দক্ষতার উপর বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের জন্য আশার উপর বিনিয়োগ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের প্রান্তিক কিশোর-কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করার মাধ্যমে আমরা তাদের জন্য সুযোগ ও নেতৃত্বের দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সাথে এক হয়ে, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করছি যেখানে প্রতিটি যুবক সহনশীল প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে এবং এর সুবিধা ভোগ করতে পারে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাশরুর আরেফিন বলেন, “ইউনিসেফ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে অসাধারণ কাজ করছে এবং সারা দেশের শিশু ও তরুণদের জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সুযোগ তৈরি করে চলেছে। আমরা এই অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্বে তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে সত্যিই সম্মানিত।”