বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠছে চীনের কুনমিং বিএফআইইউ প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতির বৈঠকঃ পোশাক শিল্পে গ্যাস সংকট নিরসনের অনুরোধ রাজস্ব আহরণে বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক যাত্রীর মালামাল হারানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ<gwmw style="display:none;"></gwmw><gwmw style="display:none;"></gwmw> ডাকসুর ২৮ পদে ৬৫৮টি ও হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রি, জমা দেয়ার শেষ সময় আগামীকাল বাংলাদেশের ৩০০০ মেগাওয়াট ছাদে সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচিকে ‘অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী’ বলছে আইইএফএফএ

রাজস্ব আহরণে বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

ঢাকা, ২০ আগস্ট : রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়ন শুধু প্রত্যক্ষ বিনিয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, পুঁজিবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের বড় সুযোগ রয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: ড্রাইভিং ডেভেলপমেন্ট উইথ মার্কেটস, ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।

ড. মনসুর বলেন, “আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা পুরোপুরি সম্ভব।” তিনি উল্লেখ করেন যে, বিদেশি সহায়তা একসময় জিডিপির ১২-১৪ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। এখন দেশের উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই অর্থ জোগাড় করতে হবে।

গভর্নরের মতে, অর্থনীতিতে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিক উদ্যোগ প্রয়োজন: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং উদ্ভাবন ও আর্থিক শিক্ষার বিস্তার।

ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা জানি ব্যাংকিং খাতের কী অবস্থা। একে স্থিতিশীল করতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়নে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।”

তিনি আরও বলেন, ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা, ব্যাংকবহির্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি এবং গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং ক্ষুদ্র ঋণের প্রসার সম্পর্কে গভর্নর জানান, “প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে।”

গভর্নর উপসংহারে বলেন, এখন সময় এসেছে উন্নয়ন সহযোগীদের উপর নির্ভর না করে নিজস্ব বাজারভিত্তিক অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তোলার, যেখানে পুঁজিবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

রাজস্ব আহরণে বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

ঢাকা, ২০ আগস্ট : রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়ন শুধু প্রত্যক্ষ বিনিয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, পুঁজিবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের বড় সুযোগ রয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: ড্রাইভিং ডেভেলপমেন্ট উইথ মার্কেটস, ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।

ড. মনসুর বলেন, “আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা পুরোপুরি সম্ভব।” তিনি উল্লেখ করেন যে, বিদেশি সহায়তা একসময় জিডিপির ১২-১৪ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। এখন দেশের উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই অর্থ জোগাড় করতে হবে।

গভর্নরের মতে, অর্থনীতিতে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিক উদ্যোগ প্রয়োজন: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং উদ্ভাবন ও আর্থিক শিক্ষার বিস্তার।

ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা জানি ব্যাংকিং খাতের কী অবস্থা। একে স্থিতিশীল করতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়নে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।”

তিনি আরও বলেন, ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা, ব্যাংকবহির্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি এবং গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং ক্ষুদ্র ঋণের প্রসার সম্পর্কে গভর্নর জানান, “প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে।”

গভর্নর উপসংহারে বলেন, এখন সময় এসেছে উন্নয়ন সহযোগীদের উপর নির্ভর না করে নিজস্ব বাজারভিত্তিক অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তোলার, যেখানে পুঁজিবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।