বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠছে চীনের কুনমিং বিএফআইইউ প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতির বৈঠকঃ পোশাক শিল্পে গ্যাস সংকট নিরসনের অনুরোধ রাজস্ব আহরণে বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক যাত্রীর মালামাল হারানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ<gwmw style="display:none;"></gwmw><gwmw style="display:none;"></gwmw> ডাকসুর ২৮ পদে ৬৫৮টি ও হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রি, জমা দেয়ার শেষ সময় আগামীকাল বাংলাদেশের ৩০০০ মেগাওয়াট ছাদে সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচিকে ‘অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী’ বলছে আইইএফএফএ

ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছে

ঢাকা, ২০ আগস্ট : চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে বাংলাদেশ ১৭.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।2

এই উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, রপ্তানির এই হার ইইউর মোট আমদানি বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হলেও চীন ও কম্বোডিয়ার মতো প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোস্ট্যাটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ইইউর বাজারে ১০.২৯ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৮.৭৩ বিলিয়ন ইউরোর তুলনায় ১৭.৯ শতাংশ বেশি। সামগ্রিকভাবে, ইইউর পোশাক আমদানি ১২.৩ শতাংশ বেড়ে ৪৩.৩৯ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের ৩৮.৬৪ বিলিয়ন ইউরোর চেয়ে বেশি।

এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ইইউ বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে। তবে, বাংলাদেশ তার প্রধান এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও কম্বোডিয়ার কাছ থেকে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। চীন তার সর্বোচ্চ রপ্তানিকারকের অবস্থান ধরে রেখেছে, তাদের রপ্তানি ২২.৩ শতাংশ বেড়ে ১১.২৬ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তাদের রপ্তানি ৩০.৪ শতাংশ বেড়ে ২.০৭ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।

চীন ও কম্বোডিয়ার চেয়ে প্রবৃদ্ধির হারে পিছিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশ তার প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়ে ভারতের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ২.৭০ বিলিয়ন ইউরো, যা গত বছরের ২.৩৪ বিলিয়ন ইউরোর তুলনায় ১৫.৪ শতাংশ বেশি। পাকিস্তানের রপ্তানি ১৬.৬ শতাংশ বেড়ে ১.৫৯ বিলিয়ন ইউরো থেকে ১.৮৬ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে। ভিয়েতনামও তার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, তাদের রপ্তানি ১৭.৩ শতাংশ বেড়ে ১.৭৩ বিলিয়ন ইউরো থেকে ২.০২ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।3

এর বিপরীতে, তুরস্ক নেতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে। ইইউ বাজারে তাদের পণ্যের চাহিদা কমার প্রতিফলন হিসেবে তুরস্কের রপ্তানি ৭ শতাংশ কমে ৪.২৭ বিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।

সামগ্রিকভাবে তুলনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের ১৭.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ইইউর গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি এবং ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের চেয়ে শক্তিশালী। তবে, প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও কম্বোডিয়ার পেছনে থাকাটা ইইউ বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।