বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠছে চীনের কুনমিং বিএফআইইউ প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতির বৈঠকঃ পোশাক শিল্পে গ্যাস সংকট নিরসনের অনুরোধ রাজস্ব আহরণে বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৭.৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক যাত্রীর মালামাল হারানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ<gwmw style="display:none;"></gwmw><gwmw style="display:none;"></gwmw> ডাকসুর ২৮ পদে ৬৫৮টি ও হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রি, জমা দেয়ার শেষ সময় আগামীকাল বাংলাদেশের ৩০০০ মেগাওয়াট ছাদে সৌরবিদ্যুৎ কর্মসূচিকে ‘অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী’ বলছে আইইএফএফএ

সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচি বাড়াচ্ছে

ঢাকা, ১৮ আগস্ট – খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার আগামী অর্থবছরে ৩৬.৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির (ওএমএস) জন্য গমের বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আগে যেখানে ৫০ লাখ পরিবার এই সুবিধা পেত, এখন থেকে ৫৫ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১৫ টাকা কেজি দরে দেওয়া হবে। এই চাল আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে বিতরণ করা হবে।

ওএমএস কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)-এর সর্বশেষ অর্থনৈতিক আপডেট অনুযায়ী, বাংলাদেশে চালের মূল্য খাদ্য ও সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করছে। জিইডি’র প্রতিবেদন বলছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিতে চালের অবদান মে মাসে ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাই মাসে ৫১.৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মোটা ও মাঝারি চালের দাম বৃদ্ধির কারণে যথাক্রমে ২৪ ও ১৮.৩৯ শতাংশ অবদান রেখেছে।

খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এক নোটে বলা হয়েছে, ওএমএস কর্মসূচিতে চাল ও গমের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। কর্মকর্তারা বলেন, ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে কম আয়ের ভোক্তাদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে চাল ও গম সরবরাহ করা হয়, যা মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে জরুরি।

খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির বিভিন্ন দিক

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদপ্তর এই কর্মসূচিগুলো পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • দুর্বল গোষ্ঠী খাওয়ানো (VGF) এবং দুর্বল গোষ্ঠী উন্নয়ন (VGD): এই কর্মসূচির অধীনে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র পরিবারকে, বিশেষ করে কৃষি সংকটের সময় এবং ধর্মীয় উৎসবের আগে চাল ও গম সরবরাহ করা হয়।
  • কাজের বিনিময়ে খাদ্য (FFW) এবং টেস্ট রিলিফ (TR): এই কর্মসূচিগুলোতে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প, যেমন সড়ক ও বাঁধ মেরামত এবং সেচ খাল নির্মাণে শ্রমের বিনিময়ে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়, যা কর্মসংস্থান তৈরি করে।
  • খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস): দেশব্যাপী ট্রাক এবং ডিলারের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হয়, যা বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
  • দুর্যোগ ত্রাণ: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরাসরি খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।

এই কর্মসূচিগুলো বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)-এর মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় পরিচালিত হয়, যারা সক্ষমতা বৃদ্ধি, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় সরকারকে সহায়তা করে। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারের খাদ্যশস্যের মজুদ সন্তোষজনক থাকায় তারা আশা করছেন যে বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।