রবিবার ২৯ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বিজিএমইএ সভাপতির সাথে পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে, রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ব্যালট বিপ্লবের সাক্ষী হবে: এনসিপি প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী ব্যবসায়ী নেতারা এনবিআর ইস্যুর জরুরি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের হস্তক্ষেপের আবেদন ঢাকা ওয়াশিংটনের সাথে শুল্ক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংকের নিয়মিত বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত “তোমাদের শিক্ষাই হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার” – ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টেশনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত

শ্রমিক সংকটে দিশেহারা দেওয়ানগঞ্জের কৃষক, ১মণ ধানেও মিলছে না ১ জন কামলা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে সংবাদদাতা: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ধান ও ভুট্টা কাটার ভরা মৌসুমে তীব্র শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকরা জানান, একজন শ্রমিককে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করেও দৈনিক এক হাজার থেকে এক হাজার একশ টাকা মজুরি দিয়েও কামলা পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ আসন্ন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে। তবে, এই ভরা মৌসুমে কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র দাবদাহের কারণে শ্রমিকরা জমিতে কাজ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের সাথে কথা বলে এই চিত্র উঠে এসেছে।

কৃষকরা বলছেন, বর্তমান আবহাওয়া ফসল তোলার জন্য অনুকূল। তবে, উঠতি পাকা বোরো ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই পোকা আগে কখনো এই অঞ্চলে দেখা যায়নি। কারেন্ট পোকা লাগার অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো ধানখেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে, বাধ্য হয়ে কৃষকরা বেশি মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ সম্পন্ন করছেন।

দেওয়ানগঞ্জের হাটবাজারে বর্তমানে প্রতি মণ কাঁচা ধান ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে, একজন কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দাঁড়াচ্ছে নগদ ১০০০ টাকা এবং দুই বেলা খাবারের খরচসহ প্রায় ১২০০ টাকা।

দেওয়ানগঞ্জ পৌর এলাকার নারী কৃষক সুরজা বেগম এই প্রতিবেদককে বলেন, “জমিতে কাজ করে বাজারে এক মণ ধান বিক্রি করি ৯০০ টাকায়, আর একজন কামলাকে দিতে হয় ১০০০ টাকা সাথে দুই বেলা খাবার। তার উপর পোকা ধানের ক্ষেত নষ্ট করে ফেলছে। ধানের দামের চেয়ে কামলার দাম বেশি।”

কৃষি শ্রমিক নুরুজ্জামান জানান, অভাবের তাড়নায় প্রচণ্ড রোদেও তাদের ধান কাটতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “রোদে পুড়ে শরীর জ্বালা করে, অসহ্য যন্ত্রণা হয়। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা কাজ করতে হয়।” তিনি আরও জানান, অনেকেই চুক্তিতে কাজ করছেন। বৈশাখের শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ফসলহানির আশঙ্কায় কৃষকরা পাকা ধান ও ভুট্টা কাটতে ব্যস্ত। তীব্র রোদে কৃষক পরিবারের নারী ও শিশুরা পর্যন্ত মাঠে ধান কাটায় সাহায্য করছেন।

কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ধান কাটা খুবই কষ্টের কাজ। গরমের কারণে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। তবে, সংসারের অভাব মেটাতে বাধ্য হয়ে তাদের কাজ করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন