বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমান তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে রবিবার রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান এবং ডিনসহ মোট ১১ জন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদত্যাগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, পদত্যাগ করা উপাচার্য এবং বিভাগীয় প্রধানদের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ স্থগিত থাকবে।
এর আগে, রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ ১১ জন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের কারণ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কথা বলেন। তারা জানান, তারা শুধু উপাচার্য এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ চান, অন্য শিক্ষকদের নয়। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে তাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অন্যদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। তারা অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র वापस নেওয়ারও অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পদত্যাগপত্রের ছবি অনুযায়ী, গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইউআইইউর উপাচার্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, কিছু শিক্ষার্থীর অসৌজন্যমূলক ও অসম্মানজনক আচরণের জন্য তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এরপর, উপাচার্যের পদত্যাগের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক’ দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকরাও তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের এই ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিনা বা তারা কোনো কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।