ঢাকা, ১ জুলাই : শেভরনের নতুন বেস অ্যাসেটস ও এমার্জিং কান্ট্রিস-এর প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের লা রোসা ঢাকার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে তার কোম্পানির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন।
লা রোসা বলেন, “আমার নতুন ভূমিকার প্রথম দিনেই বাংলাদেশের সম্মানিত সরকারি অংশীদারদের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত।”
তার সফরকালে, জাভিয়ের লা রোসা এবং শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ফজলুল কবির খান, ইএমআরডি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এম রেজানুর রহমান, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুফেই সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে অগ্রগতির ওপর জোর দেন।
লা রোসা বলেন, “সরকার, পেট্রোবাংলা এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে, যে অংশীদারিত্ব গত ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের উৎসাহিত করেছে, যা বর্তমান এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠায়।”
“একসাথে, আমরা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি এবং বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করতে পারি,” যোগ করেন তিনি।
শেভরন গত ৩০ বছর ধরে পেট্রোবাংলা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে রয়েছে এবং এটি দেশের বৃহত্তম মার্কিন বিনিয়োগকারী।
এই মার্কিন তেল কোম্পানি বাংলাদেশের স্থানীয় প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৬০% এবং কনডেনসেট উৎপাদনের ৮০% এর বেশি সরবরাহ করে।
গত তিন দশকে বাংলাদেশের জ্বালানি অবকাঠামো শক্তিশালী করতে এটি ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অবদান রেখেছে, যার মধ্যে স্থানীয় সরবরাহকারীদের সাথে ৬৩৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অন্তর্ভুক্ত, যা বৈদেশিক মুদ্রার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করছে।