ঢাকা, ১৩ আগস্ট: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যের কিছু সম্পদ বিক্রি করে $৩৫০ মিলিয়ন ঋণ ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার কিছু সম্পদ বিক্রি করে ঋণদাতাদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউসিবি গত ২৯ জুন যুক্তরাজ্যের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গ্রান্ট থর্নটনকে এই অর্থ ফেরতের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ইউসিবির সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সময়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কয়েকজন সহযোগী প্রায় $৩৫০ মিলিয়ন আত্মসাৎ করেছেন। ইউসিবির বিশ্বাস, যুক্তরাজ্যের কিছু প্রপার্টি কোম্পানিও এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত।ইউসিবি সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুখমিলা জামান এবং যুক্তরাজ্যের প্রপার্টি কোম্পানিগুলোর ব্যক্তিগত সম্পদের বিরুদ্ধে দাবি জানিয়েছে। ব্যাংকটি গ্রান্ট থর্নটনের নিযুক্ত প্রশাসকদের সহায়তা করছে, যাতে অ্যারামিট প্রপার্টিজ লিমিটেড, রুখসমিলা প্রপার্টিজ লিমিটেড, জেডটিএস প্রপার্টিজ লিমিটেড ও নিউ ভেঞ্চারস (লন্ডন) লিমিটেডের মতো কোম্পানিগুলোতে প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
দ্য টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামানের ছয়টি আবাসন কোম্পানি ইতোমধ্যে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অধীনে চলে গেছে। তার কিছু সম্পত্তি বিক্রির জন্য গ্রান্ট থর্নটনের প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লন্ডনসহ দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের আবাসিক ভবন রয়েছে। এই বিক্রির অর্থ সিঙ্গাপুরভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংক ও ব্রিটিশ অ্যারাব কমার্শিয়াল ব্যাংকের মতো ঋণদাতাদের পাওনা শোধ করতে ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের পর যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের সম্পদের তথ্য প্রকাশ পায়। দ্য টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার তিন শতাধিক প্রপার্টি রয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ১৭ কোটি পাউন্ড।
অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটেনে অর্থ পাচার করে এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে।বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পর যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুনে সাইফুজ্জামানের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। এর মধ্যে নর্থ লন্ডনের সেন্ট জনস উড এলাকার ১১ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিলাসবহুল বাড়ি এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটসরোভিয়া এলাকার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে।