শনিবার ১৬ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে বিএসইসি কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা এলডিসি উত্তরণে আরও ৬ বছর সময় চাইলেন ব্যবসায়ীরা: ‘তাড়াহুড়া করা হবে ভুল’ প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর: বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য নতুন সুযোগ ও সুবিধা আগস্টের ১৩ দিনে ১.১৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেল বাংলাদেশ আমদানি সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলার বিএফআইইউ তাদের প্রাক্তন বস, ৩ জন প্রাক্তন গভর্নর এবং ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের অ্যাকাউন্টের বিবরণ চেয়েছে নির্বাচনের খবর বিনিয়োগকারীদের আস্থা জাগিয়ে তোলে: আমির খসরু যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের কিছু সম্পদ সম্পদ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা $৬৩.৫ বিলিয়ন নির্ধারণ

ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ২০২৫, ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণে গুরুত্বারোপ

ঢাকা ১৪ মে: বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণসহ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সই এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।

বুধবার (১৪ মে, ২০২৫) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ২০২৫ –এ তিনি এসব কথা বলেন। উক্ত ফোরামে ভিয়েতনামের ১৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং।

কৃষি, পযর্টন, ঔষধ, মৎস, আইসিটিসহ বেশকিছু শিল্পের বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং জানান, উভয় দেশ একে অপরের পণ্যে উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করে রেখেছে। ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা দূর করাসহ পরিবহন, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস ব্যবস্থা সহজ করা গেলে অনাবিষ্কৃত খাতসমুহে বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময়, দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ় করার পরামর্শ দেন তিনি।

উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানও। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে লেনদেন ব্যবস্থা আরও সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই -এর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে, যার একটি বড় অংশই অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। এ সময়, অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জয়েন্ট ভেঞ্চার উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত গুয়েন মান কোং। প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশে শিল্প ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুফল পেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময়, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য-ভিসা সহজীকরণের আহ্বান জানান ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। দু’দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ এবং অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন ভিয়েতনাম বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডো ভ্যান থ্রং।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই -এর মহাসচিব মোঃ আলমগীর, এফবিসিসিআই -এর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ড. ফেরদৌসী রহমান, এফবিসিসিআই’র সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্যরা।