ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: চলমান যুদ্ধ এবং তীব্র ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বিক্রি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই বৈশ্বিক সামরিকীকরণের আবহে ইউরোপের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি তুরস্কও তার শক্ত অবস্থান তুলে ধরেছে এবং তারা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র বিক্রির তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এসআইপিআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ১০০টি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সম্মিলিত রাজস্ব গত বছর ৫.৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৯ বিলিয়ন ডলারে। এটি ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।
এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে এসআইপিআরআই ইউক্রেন এবং গাজার চলমান যুদ্ধ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং বিশ্বশক্তিগুলোর বর্ধিত প্রতিরক্ষা বিনিয়োগকে উল্লেখ করেছে।
অস্ত্র বিক্রির এই প্রবৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশ দখল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ, যারা সম্মিলিতভাবে ৩৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রয় করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের ২৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৩টি কোম্পানির রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিক আঞ্চলিক বিক্রয় ১৩% বেড়ে ১৫১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তুরস্কের উত্থান ও রাশিয়ার আয় বৃদ্ধি
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রিতে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে তুরস্ক। দেশটি বার্ষিক অস্ত্র বিক্রি ১১% বৃদ্ধি করেছে, যার মোট রাজস্ব ১০.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তুরস্কের প্রধান বিক্রিত অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমকেই, বায়কার, তাই এবং রকেটসান।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা এবং শ্রমিক ঘাটতি সত্ত্বেও রাশিয়ার সংস্থাগুলোও তাদের আয় বাড়িয়েছে। শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে তাদের রাজস্ব ২৩% বেড়ে ৩১.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্য তাদের সর্বোচ্চ অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে শীর্ষ ১০০টি কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তাদের নয়টি কোম্পানি ৩১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে। গাজা যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরাইলও অস্ত্র বিক্রি বৃদ্ধি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।