নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেও স্বর্ণ নিরাপদ ও স্থিতিশীল সম্পদ হিসেবে তার গুরুত্ব ধরে রেখেছে। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের রিজার্ভের একটি বড় অংশ স্বর্ণ আকারে জমা রাখাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্বর্ণ রিজার্ভের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্বর্ণ রিজার্ভে শীর্ষ দেশগুলো
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রিজার্ভে স্বর্ণের মজুদের দিক থেকে শীর্ষ ৬টি দেশ হলো:
| দেশের নাম | স্বর্ণের পরিমাণ (টন) |
| যুক্তরাষ্ট্র | ৮,১৩৩.৪৬ |
| জার্মানি | ৩,৩৫৫.১৪ |
| ইতালি | ২,৪৩৬.৯৯ |
| ফ্রান্স | ২,৪৩৬.৩৮ |
| রাশিয়া | ২,৩৩২.৭০ |
| চীন | ২,২৭৯.৬ |
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা স্বর্ণের এই পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা জার্মানি ও ইতালির সম্মিলিত রিজার্ভের থেকেও বেশি। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, চীন ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তাদের স্বর্ণ রিজার্ভে ৩৩১ টন অতিরিক্ত স্বর্ণ যোগ করেছে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশ
শীর্ষ তালিকা ছাড়াও, রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ভারত: ৮৭৬.২ টন
- জাপান: ৮৪৬ টন
- তুরস্ক: ৫৯৫.৪ টন
- সৌদি আরব: ৩২৩.১ টন
এই দেশগুলোর রিজার্ভের একটি বড় অংশ ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ সালের ব্রেটন উডস যুগ থেকে সংগ্রহিত।
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে মাত্র ১৪.৮ টন স্বর্ণ রয়েছে, যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলনামূলকভাবে কম। তবে দেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আস্থা বজায় রাখা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই স্বর্ণের মজুদ সহায়তা করে।
বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্বর্ণের মূল্য স্থায়িত্বের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণকে রিজার্ভের অন্যতম প্রধান সম্পদ হিসেবে রাখার প্রথা অব্যাহত রেখেছে।