নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তার সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আরও চারটি স্বনামধন্য হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে বিজিএমইএ এর বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেল।
চুক্তি স্বাক্ষর ও নতুন যুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠান
আজ (মঙ্গলবার) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ সভাকক্ষে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। নতুন করে যে চারটি হাসপাতাল এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো, সেগুলো হলো:
- ঢাকা ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পিএলসি
- ইবনে সিনা ট্রাস্ট
- শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল
- ইয়র্ক হসপিটাল লিঃ
বিজিএমইএ এর পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান সমঝোতা স্মারকগুলোতে স্বাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন: ঢাকা ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল পিএলসি এর পরিচালক মো. আনিসুর রহমান; ইবনে সিনা ট্রাস্ট এর এজিএম ও ডেপুটি হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট জিএম তারিকুল ইসলাম; শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল এর বোর্ড ডিরেক্টর ফুতোশি কোনো; এবং ইয়র্ক হসপিটাল লিঃ এর পরিচালক নজরুল ইসলাম।
সুবিধা ও লক্ষ্য
এই চুক্তির ফলে বিজিএমইএ এর সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন থেকে মোট ১৪টি শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিশেষ ছাড়কৃত মূল্যে (ডিসকাউন্ট রেট) উন্নত চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে দেশেই বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে উৎসাহিত করা।
পোশাক শ্রমিকদের জন্য বৃহৎ হাসপাতালের উদ্যোগ
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের কল্যাণে সমিতির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি একটি বড় উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন: “বিজিএমইএ পোশাক শ্রমিকদের জন্য আশুলিয়া অঞ্চলে একটি বৃহৎ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে এই হাসপাতাল পরিচালনায় স্বাক্ষরকারী হাসপাতালগুলোর মূল্যবান সহযোগিতা নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই পোশাক খাতে একটি স্থায়ী ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে।