ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক চীন ও ভারতের ওপর আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বাড়তে পারে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক আলোচনা সভায় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে “ম্যাক্রোইকোনমিক চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ” শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়। এটি প্রয়াত সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান ছিল। মোয়াজ্জেম হোসেন ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রয়াত সম্পাদক এবং ইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
ড. জাহিদ হোসেনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার ইতিবাচক ফলাফলের পর বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং রপ্তানি খাত ধীরে ধীরে প্রসারিত হবে।তিনি বলেন, যদিও সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এসেছে, কিন্তু নিম্ন আয়ের পরিবারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যেখানে দারিদ্র্য ও বৈষম্য বাড়ছে।
ড. জাহিদ মনে করেন, এই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মূলত আগের অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অপসারণের কারণে এসেছে।তিনি আরও বলেন, “দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে, যার ফলে হুন্ডি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বেড়েছে।”একইভাবে, ব্যাংক খাতে লুটপাট বন্ধ হয়েছে। তবে, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা এখনো উন্নত হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আন্তর্জাতিক বাজারের কিছু ইতিবাচক পরিস্থিতি, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য পতনকেও বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনুকূল বলে মনে করেন।ড. জাহিদ জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান স্থিতিশীলতায় নীতির অবদান খুব বেশি নয়। তবে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে এবং নীতি নির্ধারণে আরও শৃঙ্খলা আনা হয়েছে। তবুও এর অর্থ এই নয় যে সরকারের সব সিদ্ধান্ত সঠিক।