ঢাকা, ৩এপ্রিল:-দেশের অর্থনীতিতে যেন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস! এতদিন ধরে বাণিজ্য ঘাটতি আর দেনার চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল। তবে, সাম্প্রতিক খবরে একটু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো টাকা বা রেমিট্যান্স বেড়েছে, আর আমাদের রপ্তানিও ভালো হচ্ছে। জিনিসপত্রের দামটা ঠিকঠাক পাওয়ায়, আয়ও বাড়ছে।
অন্যদিকে, কলকারখানার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা যন্ত্রপাতি আমদানিও খুব বেশি বাড়েনি। তাই, আমদানি-রপ্তানির হিসাবে ঘাটতিটা কমে এসেছে। মানে, আমরা যত টাকা খরচ করছি, তার চেয়ে আয়টা একটু ভালো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে, গত আট মাসে রপ্তানি বেড়েছে, আমদানিও হয়েছে। তবে, আগের বছরের তুলনায় ঘাটতিটা কিছুটা কমেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর, কারণ এর ফলে জিনিসপত্রের দামও হয়তো একটু নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আর প্রবাসীরাও যেন দেশের কথা ভেবে বেশি বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর তাদের পাঠানো টাকা অনেক বেড়েছে। সব মিলিয়ে, অর্থনীতিতে যেন একটু স্বস্তির হাওয়া বইছে।”
· দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি হিসাবের নেতিবাচক অবস্থা কমেছে এবং বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণও কমে এসেছে।
· চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ইতিবাচক দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
· বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে এমনটা হয়েছে।
· শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ব্যয় খুব একটা বাড়েনি, তাই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে এসেছে।
· কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩,০৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে এবং ৪,৩৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।
· বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১,৩৭০ কোটি ডলার।
· আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৪১ শতাংশ ঘাটতি কমেছে।
· চলতি হিসাবের লেনদেনে ঋণাত্মক অবস্থান কমেছে।
· জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৬ শতাংশ বেশি।