বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সাসটেইনেবিলিটি: বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে হোহেনস্টাইন গ্রুপের বৈঠক

ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০২৫: পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত টেকসই (সাসটেইনেবিলিটি) নিশ্চিত করার বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক টেস্টিং ও সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠান, জার্মানির হোহেনস্টাইন গ্রুপের একটি প্রতিনিধিদল আজ ঢাকার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যারা

হোহেনস্টাইন প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ সিইও ড. স্টেফান ড্রোস্টে, অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্য জুলিয়া মিচিলস, এবং হোহেনস্টাইন ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান

‘মেইড ইন গ্রিন’ ও ডিজিটাল পাসপোর্ট নিয়ে আলোচনা

বৈঠকে হোহেনস্টাইন প্রতিনিধিরা তাদের সংস্থার গবেষণা, টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন পরিষেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তারা টেকসইভাবে উৎপাদিত টেক্সটাইল পণ্যের জন্য ট্রেসেবল লেবেল ‘মেইড ইন গ্রিন’ উদ্যোগে বিজিএমইএ এর সাথে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। STeP (Sustainable Textile Production) সার্টিফিকেশনের ভিত্তিতে দেওয়া এই লেবেল পণ্যটি মানুষ ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল তা নিশ্চিত করে।

এছাড়াও, পোশাকের মূল্য শৃঙ্খলে (ভ্যালু চেইন) বৃহত্তর স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট (ডিপিপি) তৈরির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান শিল্পের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:

  • ইউনিফাইড কোড অব কন্ডাক্ট (সমন্বিত আচরণবিধি): তিনি সমগ্র পোশাক শিল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের জন্য একটি ‘সমন্বিত আচরণবিধি’ প্রণয়নের ওপর জোর দেন। এটি চালু হলে সরবরাহকারীদের ওপর বিভিন্ন পক্ষের পক্ষ থেকে আসা অডিট পুনরাবৃত্তি (বারবার নিরীক্ষার সম্মুখীন হওয়া) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
  • ফেব্রিক্সের ডিএনএ টেস্টিং: ফাইবারের উৎস সঠিকভাবে নির্ধারণের জন্য তিনি ফেব্রিক্সের ডিএনএ টেস্টিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং হোহেনস্টাইন বাংলাদেশে এই পরিষেবা দিতে পারে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চান।
  • STeP সার্টিফিকেশন খরচ কমানো: টেকসই সার্টিফিকেশনকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে বিজিএমইএ সভাপতি বিশেষত বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলোর জন্য STeP সার্টিফিকেশনের খরচ কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য হোহেনস্টাইনকে অনুরোধ করেন।

এই বৈঠক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও বিশ্ব বাজারে এর প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।