৫ দফা দাবির অভিন্ন আন্দোলনে শরিক ৭ দলের জন্য আসন ছাড়বে জামায়াত; মূল মানদণ্ড ‘জয়ের সম্ভাবনা’
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের পূর্বঘোষিত প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, দলের তালিকা থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন। এই আসনগুলো ৫ দফা দাবির যুগপৎ আন্দোলনে শরিক ৭টি দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব ও মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ভিত্তিতে এই রদবদল প্রক্রিয়া চলছে। জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের বলেছেন, প্রার্থীর সংখ্যা নয়, বরং জয়ের সম্ভাবনাই প্রার্থী নির্বাচনের মূল মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
🤝 একক প্রার্থী চূড়ান্তের পথে ৮ দল
‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের দাবিতে অভিন্ন আন্দোলনের অংশ হিসেবে, জামায়াতসহ জোটের শরিক ৮টি দল এখন একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার দিকে এগোচ্ছে। মাঠপর্যায়ের জরিপ বিশ্লেষণ করে কোন আসনে কোন দলের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি—তা দেখেই চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হবে। আসন বণ্টন নিয়ে কিছু জটিলতা থাকলেও, জোটের ইসলামী ঐক্যের স্বার্থে সব দলই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখাচ্ছে।
- ইসলামী আন্দোলন: ১২০টি আসনে প্রার্থী চায়।
- জামায়াত: ১৩০টি আসনে প্রার্থী চায়।
- অন্যান্য শরিক দল: বাকি ৫০টি আসনে প্রার্থী দিতে আগ্রহী।
- খেলাফত আন্দোলন: ২০টি আসন চাইছে।
- খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও বিডিপিও নিজস্ব জরিপ চালিয়ে আসন দাবি করছে।
🎯 নয়া তালিকা ও বৈচিত্র্য
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ঢাকা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইজন হিন্দু প্রার্থীসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও উপজাতি গোষ্ঠীর আরও ৪ থেকে ৫ জনকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি অঞ্চলে ডাকসু’র কয়েকজন সাবেক নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে।
এছাড়াও, তালিকায় নারী প্রার্থী এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত আন্দোলনকারীদেরও যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, শরিক দলের সাথে সমঝোতা এবং অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের কারণে সব মিলিয়ে ৮০ থেকে ১০০ জন প্রার্থী বাদ পড়ছেন। হবিগঞ্জ-৪, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি আসনে ইতোমধ্যে নতুন প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।