ঢাকা, মে ৭: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি করে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা তরুণদের রাজনীতিতে উৎসাহিত করছি, যাতে তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এবং সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়।”মঙ্গলবার (৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদলে ছিলেন সোশালিস্ট ইউথ লিগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এইউএফএর আন্তর্জাতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য ফাউজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা স্ভেনেবি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-সংযুক্ত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টকেল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট অঞ্চলের ইয়াং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলকেন।
প্রধান উপদেষ্টা নরওয়েজিয়ান তরুণ নেতাদের রাজনৈতিক পটভূমি, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। এছাড়াও, তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার কেমন, সে বিষয়েও জানতে চান।বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন নরওয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তারা বলেন, “অনেক বাংলাদেশি তরুণ তাদের জীবনে একবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি।” এই সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি।
টানা তিন মেয়াদে একটি ভুয়া ভোটব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য হিসেবে দাবি করলেও, বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।”দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘পুরাতন’ আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগের রেখে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার করা। ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো সরিয়ে নিয়ে একটি নতুন সূচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করাই এখনকার প্রধান কাজ। এটি আমাদের জন্য একটি পরিবর্তনের সময়।”