মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, গুজবে মনোযোগ না দেওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের বাণিজ্য সহজীকরণে অপ্রয়োজনীয় প্রবিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি প্রবাসী আয়ে রেকর্ড: আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে নীতি সংস্কারের আহ্বান ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কে রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবে : অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা পলিথিন পেলে ছাড় নয়, আইনানুগ ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা বিলস এর আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য তৈরী পোশাক শিল্পে এইচআরডিডি বিষয়ে দুই দিনের সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত বিদেশি ইন্টারনেট সেবার মূল্য পরিশোধ সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিউ ডিলিজেন্স আইন মানতে ন্যায্য দর দিতে ক্রেতারা বাধ্য: কর্মশালায় অভিমত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশিরভাগ শুল্ক অবৈধ, রায় মার্কিন আপিল আদালতের

ওয়াশিংটন ডিসি: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের অধিকাংশই অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন মার্কিন আপিল আদালত।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই রায়ের ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে ট্রাম্পের প্রধান হাতিয়ারটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল। খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে গত এপ্রিল মাসে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেকটি শুল্কের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির মধ্যে ছয়জন ডেমোক্র্যাট ও একজন রিপাবলিকান আমলে নিযুক্ত। অন্যদিকে, রায়ের বিপক্ষে ছিলেন দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবলিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি।

তবে, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষের আরোপিত শুল্ক, যেমন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত শুল্ক, এই রায়ের আওতার বাইরে থাকবে।হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি এই হাতিয়ার ব্যবহার করে বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্য চুক্তি পুনরায় আলোচনা করতে বাধ্য করেছেন।

আদালতের এই সিদ্ধান্তকে “অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট” উল্লেখ করে নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, এই শুল্কগুলো তুলে নেওয়া হলে দেশ সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সর্বোচ্চ আদালতের সহায়তায় এই রায় উল্টে যাবে।ট্রাম্প ১৯৭৭ সালের আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের (আইইইপিএ) দোহাই দিয়ে শুল্ক আরোপের পক্ষে যুক্তি দেন।

এই আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি অবস্থায় “অস্বাভাবিক ও বিশেষ” হুমকি মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। গত এপ্রিল মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং বলেন, দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতি মার্কিন উৎপাদনশীলতা ও সামরিক প্রস্তুতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ঐতিহাসিকভাবে, এই আইনটি মূলত শত্রু রাষ্ট্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা সম্পদ জব্দ করতে ব্যবহৃত হয়েছে। ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আইইইপিএ ব্যবহার করে শুল্ক আরোপ করেছেন।আদালত বলেছে, আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের হাতে জরুরি অবস্থায় পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার থাকলেও, শুল্ক আরোপের ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি।

আদালতের মতে, আইন প্রণয়নের সময় কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের হাতে শুল্ক আরোপের সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়ার পরিকল্পনা করেনি।ট্রাম্প প্রশাসনকে সর্বোচ্চ মার্কিন আদালতে আপিলের সুযোগ দিতে আদালত আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত শুল্ক বহাল রাখার অনুমোদন দিয়েছে।