ঢাকা : বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স (Chargé d’Affaires) আনিয়া কেরস্টেন (Ms. Anja Kersten) বুধবার (সেপটেম্বর ১০) সম্প্রতি ‘আমান বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর উৎপাদন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। আমান গ্রুপ জার্মানির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই প্রতিষ্ঠান।
পরিদর্শনকালে, মিসেস কেরস্টেন জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি টেকসই উৎপাদন এবং উদ্ভাবনে আরও সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমান বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান এফসিএ এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কেরস্টেন ও তার প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মো. রোকনুজ্জামান মিসেস কেরস্টেনের পরিদর্শনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “তার এই সফর জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান আস্থা ও অংশীদারিত্বের প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের ভবিষ্যতকে সমর্থন করার জন্য উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
পরিদর্শনের সময়, মিসেস কেরস্টেনকে কোম্পানির উন্নত উৎপাদন সুবিধাগুলো ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তিনি আমানের বাংলাদেশে যাত্রা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ শোনেন, যা ২০১৩ সালে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের সাথে একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে শুরু হয়েছিল।
এই সফর আমানের উদ্ভাবন, গুণগত মান এবং দায়িত্বশীলতার মতো জার্মান মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যের ওপরও জোর দিয়েছে। আমান বাংলাদেশ টেকসই অনুশীলনে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি-সাশ্রয়ী কার্যক্রম, সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং কমিউনিটি উন্নয়ন উদ্যোগ। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে একটি দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে।
১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আমান গ্রুপ, প্রিমিয়াম সেলাই এবং এমব্রয়ডারি থ্রেড এবং স্মার্ট ইয়ার্নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয়। আমান বাংলাদেশ লিমিটেড এই বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বাংলাদেশের শিল্প অগ্রগতি এবং গ্রুপের বিশ্বব্যাপী সুনামের ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।