শুক্রবার ১৮ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ:
তুলা ও অন্যান্য ফাইবার আমদানিতে ২% আগাম আয়কর প্রত্যাহার করল এনবিআর ২০ মিলিয়ন ডলারের সাইবার জালিয়াতি বানচাল করার জন্য শ্রীলঙ্কার পিএবিসিকে সম্মানিত করল বাংলাদেশ ব্যাংক শুল্ক উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কৌশলগত সমাধান হিসেবে ইউএস কটনকে দেখা হচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ-আল মাসুদের পদত্যাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শীর্ষে ১০ ব্যাংক ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানে ব্যাংকিং খাত বিপ্লব ঘটিয়েছে: বিআইবিএম সমীক্ষা মার্কিন শুল্ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি বিএনপি, বাজার ক্ষতির বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসূদ হার কমিয়ে ঋণ প্রবাহ সহজ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাসুদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা

চাহিদার দ্বিগুণ আমদানি হওয়ায় খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে

ঢাকা, ১ মার্চ:- রোজার ইফতারে বহুল ব্যবহৃত খেজুর চাহিদা দ্বিগুণ  আমদানি হওয়ায় আমদানিকৃত খেজুরের দাম কমেছে এতে ভোক্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার খেজুর বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা কেজি, অন্যদিকে মাঝারি মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা। শনিবার রাজধানীতে প্রিমিয়াম মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি।

আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম ১০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, রমজানের আগমনের সাথে সাথে খেজুরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ বছরের শুরুতে খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি শুল্ক মূল্যও ৮ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুরের আমদানি দ্বিগুণ হয়েছে।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫৩,৭৬৮ টন খেজুর আমদানি করা হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ২৫,০৮৫ টন খেজুর আমদানি করা হয়েছিল, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮১,৬৮৪ টন খেজুর আমদানি করা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আল-মদিনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এহসান উল্লাহ জাহেদী মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, রমজান মাসে খেজুরের ব্যবসা বেড়ে যায়। বাকি ১১ মাস খুব বেশি চাহিদা থাকে না।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার জেনারেল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, খেজুরের দাম ক্রেতাদের ধারণক্ষমতার মধ্যে।

“এ বছর প্রচুর আমদানি হয়েছে। এছাড়াও, গত বছরের অবিক্রীত খেজুরও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ছিল। সামগ্রিকভাবে, দাম কমার প্রবণতায় রয়েছে,” তিনি আরও বলেন।

সৌদি আরব, ইরান, মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া এবং দুবাই থেকে বিভিন্ন ধরণের খেজুর আমদানি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে জাহিদী, সায়েদী, ফরিদী, সাফাই, রশিদী, মাশরুখ, মাবরুর, নাগাল, কুদরি, আজওয়া, মেদজুল, মরিয়ম, ডাব্বাস, সুক্কারি।

বর্তমানে, বাদামতলী ফলের বাজারে, নাগাল ব্র্যান্ডের পাঁচ কেজি খেজুর বাজারে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে তিউনিসিয়ান টেটকো ফরিদীর পাঁচ কেজি প্যাকেট ২,১০০ থেকে ২,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

*এছাড়া, সৌদি আরব থেকে ৫ কেজি মাশরুখ খেজুর ২,১০০ থেকে ২,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

*৫ কেজি মাশরুখ-বি ব্র্যান্ডের খেজুর ২,৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

*৫ কেজি মাশরুখ ভিআইপি ২,৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

*৫ কেজি ইরানি মরিয়ম খেজুর ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকায়,

*৫ কেজি সৌদি আরবের মাবরুর খেজুর ৪,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকায়,

*৫ কেজি সৌদি আজওয়া খেজুর ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ টাকায়,

*৫ কেজি মিশরীয় মেদজুল খেজুর ৩,৮০০ থেকে ৪,০০০ টাকায়,

*১০ কেজি ইরাকি জাহিদি খেজুর ১,৬০০ থেকে ১,৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

*এছাড়াও, প্রতি কেজি বস্তা খেজুর ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।