সোমবার ২৫ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার চার্জ প্রায় ৪,৪০০ টাকা ৪১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে   বাংলাদেশের নারীরা পুরুষদের চেয়ে চার গুণ বেশি অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজ করেন :বিআইডিএস চীনের অব্যাহত সহযোগিতা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ৩০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করেছে ২০৪০ সালের পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের ৩৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োজন : সিপিডি স্পেসএক্স ছেড়ে এবার আর্থিক খাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৭০% আসে ১০ দেশ থেকে, বাড়ছে ঝুঁকি দুর্বল ব্যাংকে আটকা পড়েছে বিপিসি ও পেট্রোবাংলার ৩ হাজার কোটি টাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগে আগ্রহী বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার চার্জ প্রায় ৪,৪০০ টাকা ৪১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে  

ঢাকা, ২৫ আগস্ট:  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার চার্জ প্রায় ৪,৪০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, যা গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি। অর্থ মন্ত্রণালয় ২৪ জুলাই এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তবে, বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির কারণে গেজেট প্রকাশের আগেই প্রস্তাবটি পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নতুন চার্জ নিয়ে পর্যালোচনার জন্য সোমবার বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চার্জ বৃদ্ধি এর প্রভাব

প্রস্তাবিত নতুন চার্জ কার্যকর হলে বন্দরের আয় গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়বে। যেহেতু বন্দরের সমস্ত চার্জ ডলারে নির্ধারিত হয়, তাই প্রতি বছর ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আয়ও বাড়বে।

সবচেয়ে বেশি চার্জ বাড়ানো হয়েছে কন্টেইনার পরিবহনে। নতুন হার কার্যকর হলে প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ কন্টেইনারের জন্য অতিরিক্ত ৪,৩৯৫ টাকা মাশুল দিতে হবে। আমদানি কন্টেইনারে মাশুল বাড়বে ৫,৭২০ টাকা, আর রপ্তানি কন্টেইনারে বাড়বে ৩,০৪৫ টাকা। জাহাজে কন্টেইনার লোড-আনলোডের চার্জ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, যা প্রতি কন্টেইনারে $২৪.৬০ বা প্রায় ৩,০০০ টাকা অতিরিক্ত।

ব্যবহারকারীদের আপত্তি

একবারে ৪১ শতাংশ চার্জ বাড়ানোর ফলে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে এবং দেশের রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাবে বলে বন্দর ব্যবহারকারীরা আপত্তি জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, বন্দরের দুটি টার্মিনাল ছাড়া বাকিগুলো ভবিষ্যতে বিদেশি অপারেটরদের হাতে চলে গেলে এই বর্ধিত চার্জের সুবিধা তারাই পাবে।

বিজিএমইএ-এর পরিচালক এস এম আবু তাইয়াব বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ কাউন্টারভেইলিং ডিউটির কারণে রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যেই চাপের মধ্যে আছেন। এখন যদি বন্দর চার্জ ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়, তবে রপ্তানিকারকদের এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা কমে যাবে।” তিনি আরও বলেন, কাঁচামাল আমদানি এবং তৈরি পণ্য রপ্তানির জন্য দুইবার অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে, যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।

সরকারের বক্তব্য

অন্যদিকে, সরকার বলছে ১৯৮৬ সাল থেকে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়নি। চার্জ বাড়ানোর পরও তা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম থাকবে।

নতুন চার্জ কাঠামোতে প্রতি কেজি কন্টেইনার পণ্যে অতিরিক্ত ০.৪৭ টাকা যোগ হবে। বর্তমানে যা ১.২৮ টাকা। যদিও সাধারণ পণ্যের জন্য চার্জ তুলনামূলকভাবে কম।

প্রায় ৯৯ শতাংশ কন্টেইনারভিত্তিক আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হওয়ায় এই চার্জ বৃদ্ধির প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার চার্জ প্রায় ৪,৪০০ টাকা ৪১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে  

ঢাকা, ২৫ আগস্ট:  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার চার্জ প্রায় ৪,৪০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে, যা গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি। অর্থ মন্ত্রণালয় ২৪ জুলাই এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তবে, বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির কারণে গেজেট প্রকাশের আগেই প্রস্তাবটি পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নতুন চার্জ নিয়ে পর্যালোচনার জন্য সোমবার বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চার্জ বৃদ্ধি এর প্রভাব

প্রস্তাবিত নতুন চার্জ কার্যকর হলে বন্দরের আয় গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়বে। যেহেতু বন্দরের সমস্ত চার্জ ডলারে নির্ধারিত হয়, তাই প্রতি বছর ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আয়ও বাড়বে।

সবচেয়ে বেশি চার্জ বাড়ানো হয়েছে কন্টেইনার পরিবহনে। নতুন হার কার্যকর হলে প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ কন্টেইনারের জন্য অতিরিক্ত ৪,৩৯৫ টাকা মাশুল দিতে হবে। আমদানি কন্টেইনারে মাশুল বাড়বে ৫,৭২০ টাকা, আর রপ্তানি কন্টেইনারে বাড়বে ৩,০৪৫ টাকা। জাহাজে কন্টেইনার লোড-আনলোডের চার্জ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, যা প্রতি কন্টেইনারে $২৪.৬০ বা প্রায় ৩,০০০ টাকা অতিরিক্ত।

ব্যবহারকারীদের আপত্তি

একবারে ৪১ শতাংশ চার্জ বাড়ানোর ফলে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে এবং দেশের রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যাবে বলে বন্দর ব্যবহারকারীরা আপত্তি জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, বন্দরের দুটি টার্মিনাল ছাড়া বাকিগুলো ভবিষ্যতে বিদেশি অপারেটরদের হাতে চলে গেলে এই বর্ধিত চার্জের সুবিধা তারাই পাবে।

বিজিএমইএ-এর পরিচালক এস এম আবু তাইয়াব বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ কাউন্টারভেইলিং ডিউটির কারণে রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যেই চাপের মধ্যে আছেন। এখন যদি বন্দর চার্জ ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়, তবে রপ্তানিকারকদের এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা কমে যাবে।” তিনি আরও বলেন, কাঁচামাল আমদানি এবং তৈরি পণ্য রপ্তানির জন্য দুইবার অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে, যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।

সরকারের বক্তব্য

অন্যদিকে, সরকার বলছে ১৯৮৬ সাল থেকে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়নি। চার্জ বাড়ানোর পরও তা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম থাকবে।

নতুন চার্জ কাঠামোতে প্রতি কেজি কন্টেইনার পণ্যে অতিরিক্ত ০.৪৭ টাকা যোগ হবে। বর্তমানে যা ১.২৮ টাকা। যদিও সাধারণ পণ্যের জন্য চার্জ তুলনামূলকভাবে কম।

প্রায় ৯৯ শতাংশ কন্টেইনারভিত্তিক আমদানি-রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হওয়ায় এই চার্জ বৃদ্ধির প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন