নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের মন্তব্য করেছেন যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন না হলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলের আগেই দেশটা ‘ভারতের দখলে চলে যেতে পারতো’। তার দৃঢ়তার কারণেই এটা সম্ভব হয়নি বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, “আমি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সঙ্গে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করছি। তিনি একসঙ্গে দেশনেত্রী এবং গণতান্ত্রিক নেত্রী। উনার আপসহীন রাজনীতির কারণেই বিগত ১৫ বছর যেভাবে দেশটা ভারতের দখলে গিয়েছিল, তার অনেক আগেই যেতে পারতো। উনার দৃঢ়তার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।”
ডা. তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও আরোগ্য কামনা করে আরও বলেন, “তিনি কোনো দলের নেত্রী নন, সমগ্র মানুষের নেত্রী।” জামায়াতের পক্ষ থেকেও তার প্রতি শ্রদ্ধা ও আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে হার্টের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার সময় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামীর রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়ে জামায়াতের এই নেতা মন্তব্য করেন, বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও অনেক বেশি সমঝোতা, বোঝাপড়া ও নীতিগত ঐক্যের প্রয়োজন।
ডা. তাহের দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা যেন আরও অনেক বেশি ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশকে প্রাধান্য দিয়ে কর্তব্য নির্ধারণ করি।”
নিজের চিকিৎসা প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, তার হার্টে একটি ব্লক ছিল। কুমিল্লায় একটি প্রোগ্রাম শেষে ব্যথা অনুভব করায় তিনি ঢাকায় এসে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতা ও দ্রুততার সঙ্গে তার চিকিৎসা করেছেন।
তিনি জানান, “আমার ব্লকটা পাথরের মতো শক্ত ছিল। এজন্য চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা বললেও আমি এখানেই চিকিৎসার কথা বলি। আলহামদুলিল্লাহ, তারা সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন। আমি এখন সুস্থ। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছুদিন বাসায় বিশ্রামে থাকতে হবে।”