ঢাকা, ৪ মে: আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর দাম চাঁদাবাজির কারণে যাতে না বাড়ে, সে জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আজ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে পশুর দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং বাজারে চাঁদাবাজি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
स्थिर বাজার বজায় রাখতে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আসন্ন ঈদ-উল-আজহা আনন্দ ও শৃঙ্খলার সাথে উদযাপন করতে চাই। কোনো প্রকার বাজার অস্থিতিশীলতা রোধে আপনাদের সহযোগিতা অপরিহার্য।”
তিনি আরও জানান, সরকার ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে এবং উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় আত্মবিশ্বাসী।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা খামারিদের আশ্বস্ত করেছি এবং তারাও আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে এ বছর কোরবানির পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।” তিনি যোগ করেন, স্থানীয়ভাবে পালিত পশু চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি, যার মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু ও মহিষ, ৬८ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল ও ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য পশু রয়েছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জবাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে ফরিদা আখতার বলেন, স্বাস্থ্যকর ও মানবিক পদ্ধতি নিশ্চিত করতে ৩৬ হাজার ৫৭৭ জন কসাইকে वैज्ञानिक পদ্ধতিতে পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৩৬৯ জন পেশাদার এবং ২১ হাজার ২০৮ জন অপ্রশিক্ষিত কসাই রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীমান্ত জেলায় অবৈধভাবে পশু প্রবেশ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আন্তঃসমন্বয়ের মাধ্যমে চোরাচালান বন্ধে কাজ করবে।
উপদেষ্টা चेतावनी দিয়ে বলেন, “আজ থেকে অবৈধভাবে পশু প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে এবং violators দের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পশু পরিবহন সহজ করতে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। রেল ও নৌপথে পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ২০১৯ সালের পশু কল্যাণ আইন মেনে চলতে হবে।
কোরবানির পশুর হাটে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পরিচ্ছন্নতা ও পশুর বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করবে। স্বাস্থ্যকর ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পশু জবাই উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।