ঢাকা, ২ এপ্রিল:- বাংলাদেশে সোনার বাজার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অস্থির কারণ কারণ গত ৩ মাসে ব্যয়বহুল পদার্থের দাম ১৭ বার পরিবর্তিত হয়েছে।
কিন্তু কেন নিয়মিত সোনার দাম বেড়েছে? ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলছেন যে এর পেছনের কারণ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির আগ্রাসী নীতি। ২০২৪ সালে, টানা তৃতীয় বছর, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি ১,০০০ টনেরও বেশি সোনা কিনেছে, যা দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (BAJUS) দ্বারা সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সমিতি গত ৩ মাসে সোনার দাম ১৪ গুণ বৃদ্ধি করেছে এবং ৩ গুণ হ্রাস পেয়েছে।
ফলস্বরূপ, এক বছর আগের তুলনায় সোনার দামের পার্থক্য প্রতি ভরি ৪৭০০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের ঈদ-উল-ফিতরের সময় ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল প্রতি ভরি ১.১১ লক্ষ টাকা, যা এখন ১.৫৮ লক্ষ টাকা।
মূলত, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বাড়ছে। একই সাথে দেশেও সোনার দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম নিয়মিত ওঠানামা করে।
তবে, সম্প্রতি যে হারে দাম বাড়ছে, সেই হারে দাম কমছে না। এর ফলে ধীরে ধীরে সোনার দাম বাড়ছে।
ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং শুল্ক যুদ্ধের আশঙ্কার কারণে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন। অনেকে শেয়ার বাজার থেকে মূলধন তুলে নেওয়ার পরেও সোনা কিনছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন শুল্ক নীতি এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির ক্রয় বৃদ্ধির কারণেও সোনার দাম বাড়ছে।
২০২৪ সালে, টানা তৃতীয় বছরের মতো, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি ১,০০০ টনেরও বেশি সোনা কিনেছে, যা দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।