ঢাকা: বাংলাদেশে কর্মরত কূটনীতিকরা কার বাড়িতে বৈঠক করবেন, তা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রভাবশালী নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু আসে যায় না। আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনব—এটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণ কী চায়, সেটাই বড় বিষয়।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক-পরবর্তী সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এসব কথা বলেন।এর আগে এদিন বাংলাদেশে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগ পরিবেশ ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, “বিনিয়োগের সত্যিকারের পরিবেশটা বাস্তবায়ন হলে কোনো সমস্যা থাকবে না। নির্বাচন স্থিতিশীল থাকলে (বিনিয়োগের পরিবেশ) সহজ হবে, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।”তিনি আরও বলেন, “বাধা-বিপত্তির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে স্বাধীনতা দিতে হবে। জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট সংস্কার যাই বলেন না কেন, ঐকমত্য কমিশন যেগুলোতে একমত হবে, তার বাইরে কোনো আলোচনা হবে না। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।”
প্রার্থী বাছাই ও পররাষ্ট্রনীতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে আমির খসরু বলেন, “বড় দল হিসেবে একাধিক প্রার্থী থাকবে, দল যখন মনোনয়ন দেবে, সবাই এক হয়ে কাজ করবে।”তিনি জানান, বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে বিএনপির সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।