ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে চালের কুঁড়ার তেল (রাইস ব্র্যান অয়েল) রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সই করেছেন।
এর আগে গত জুলাই মাসে কুঁড়ার তেলে আরোপিত ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকেই বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশন রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর এই নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিল।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান পরিশোধিত বা অপরিশোধিত যেকোনো ধরনের কুঁড়ার তেল রপ্তানি করতে চাইলে পণ্যের মূল্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
বর্তমানে দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২২ থেকে ২৩ লাখ টন, যার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয় আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল পরিশোধন করে। বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, দেশে মোট ২১টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন। এক দশক ধরে বাংলাদেশে এই তেলের উৎপাদন ও বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে পাবনার রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড ‘হোয়াইট গোল্ড’ ব্র্যান্ড নামে প্রথম বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান এই শিল্পে যুক্ত হয়।