বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
জুলাই মাসে বাংলাদেশের দেশের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স ৮.৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরামর্শ সভায় কৃষি রূপান্তরে নতুন দিশা অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে অনেকটাই উঠে এসেছে: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন যুগে রপ্তানি বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এনএসডিএ-এর উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প সংযুক্তি ও কর্মসংস্থানে আইএসসি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মংলা ইপিজেডে ৮.০৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি পোশাক খাতে টেকসই উন্নয়নে কাজ করবে বিজিএমইএ ও অ্যামফরি<gwmw style="display:none;"></gwmw> ব্যাংক চাকরিতে পদোন্নতির তদবির এখন “অসদাচরণ” হিসাবে বিবেচিত হবে<gwmw style="display:none;"></gwmw> ব্যাংকের পর্ষদে ‘ভিন্নমত’ আর গোপন রাখতে পারবেন না পরিচালকরা

অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে অনেকটাই উঠে এসেছে: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

ঢাকা, ৬ আগস্ট – অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গত এক বছরে দেশের অর্থনীতি একটি সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে সামনে এখনো মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি ও শুল্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার মতে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং স্থবির হয়ে পড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে পুনরায় গতি সঞ্চার করা।

বুধবার (৬ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘খাদের কিনারা থেকে অর্থনীতি অনেকটাই উঠে এসেছে। এটি উপর উপর দেখলে হবে না। অনেক কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমরা এখন কিছুটা স্বস্তির জায়গায় এসেছি।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, আগামীতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি, ট্যারিফ—এসবই সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যবসায়ীদের আস্থায় আনা।’

মূল্যস্ফীতি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচক

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ‘ঘোড়ার লাগাম ধরে টেনে ধরার মতো নয়’। এটি ধীরে ধীরে কমে আসছে, যদিও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এখনো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং।

বাজেট ঘাটতি সম্পর্কে তিনি জানান, ‘প্রভিশনাল হিসাব অনুযায়ী বাজেট ঘাটতি ৩.৬ শতাংশ, যা আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্য ৪.৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দে কোনো সমস্যা হবে না।’

অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু জরুরি বিষয় এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারে কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে।’

মার্কিন শুল্ক নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুল্ক হার আরও একটু কম হলে ভালো হতো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিও পুরোপুরি অস্বস্তিকর নয়।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের আরএমজি এবং নিট পোশাক খাত ভালো করছে, যদিও ওয়েভিং খাতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষি প্রসঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেন যে, ‘আবারও দরকষাকষি হবে।’ তিনি জানান, ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর অর্থ আটকে রাখে না।

চুক্তি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চুক্তি এখনো সই হয়নি। এটি ডব্লিউটিও বা ইউএন-এর মতো বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে হবে না, বরং আনুষ্ঠানিক ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনার মাধ্যমে হবে। এখানে অনেক বিষয় প্রকাশ্যে বলা যায় না।’