ঢাকা, ১৯ আগস্ট : অব্যবস্থাপনা এবং কর্পোরেট সুশাসনের অভাবের কারণে বেসরকারি খাতের প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, ঋণ শৃঙ্খলার অভাব এবং সার্বিক সুশাসনের ঘাটতি খুঁজে পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্ববর্তী পর্ষদ ভেঙে দিয়ে একটি নতুন পর্ষদ গঠন করেছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী, কোনো বোর্ডের কার্যক্রম যদি ব্যাংক বা তার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী হয় বা জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই বোর্ড ভেঙে দিতে বা পুনর্গঠন করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ঋণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নবগঠিত বোর্ডে স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্বকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ড. আরিফুর রহমান। স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন:
- মো. ফোরকান হোসেন, সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।
- সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
- মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যাংক এশিয়া।
- শেখ মোর্শেদ জাহান, অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
- এম. নূরুল আলম, চার্টার্ড সেক্রেটারি।
পূর্ববর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল এবং ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন জামাল জি আহমেদ। অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী, শফিকুর রহমান, শায়লা শেলী খান, ইয়ে চেং মিন এবং মোহাম্মদ আহমেদ আলী।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার ব্যাংকসহ মোট ১৫টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে। অন্যান্য ব্যাংকগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল), এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, এবং বিসিবিএল।