মঙ্গলবার ৩ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:
আইসিএবি বাজেটের কৌশলগত পদ্ধতিকে অভিনন্দন জানিয়েছে, ‘ক্যাশলেস কোম্পানি’ কর পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে FICCI কিছু বাজেট পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে এবং কর বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাজেট ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ: ঢাকা চেম্বার বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা, ঘাটতি ২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা নতুন বাজেটে মোবাইল ও ইন্টারনেটের খরচ কমবে বাজেটে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে ব্যাংক আমানতের উপর আবগারি শুল্ক অব্যাহতি ৩.০ লক্ষ টাকায় উন্নীত বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করেছে

অর্থনৈতিক সংস্কারের পর পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্তের হাতছানি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

ঢাকা, ২৫ মে: বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এক বৈঠকে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুঁজিবাজারকে ঢেলে সাজানোর জন্য দ্রুত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তার উপর জোর দিয়েছেন। এর জন্য তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে এই বিশেষজ্ঞরা পুঁজিবাজারের প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো চিহ্নিত করবেন এবং সেই অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না। তিনি বলেন, “কোনো গোষ্ঠী যেন মনে না করে যে, এখান থেকে আমি নিজের মতো করে টাকা বানাব। বছরের পর বছর আমরা দেখেছি, আমাদের আশেপাশে যারা শেয়ারবাজারে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছাকাছি ছিলেন, তারা সবাই কোটিপতি হয়ে গেছেন। সেই পরিস্থিতি যাতে আর না হয় এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, প্রফেসর ইউনূস বারবার এই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।”ব্যাংকিং খাতকেও “গহ্বর থেকে টেনে তোলা হচ্ছে” উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, “আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একদম দুর্বল ছিল। স্যার (ড. ইউনূস) বলেন যে, ব্যাংকিংয়ের অবস্থা ভূমিকম্পের মতো। সবকিছু লন্ডভন্ড অবস্থা। সেইখান থেকে আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একটা গহ্বর থেকে তুলে এনে পাহাড়ের উপর উঠানোর চেষ্টা করছি।”তিনি আরও বলেন, “দুই সপ্তাহ হলো কারেন্সি ফ্লোট করা হয়েছে, কিন্তু টাকার অবমূল্যায়ন হয়নি। এটা নির্দেশ করে যে, সংস্কার ভালো সংকেত দিচ্ছে।”সরকারের মেয়াদ শেষে বিদেশি বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি হবে জানিয়ে শফিকুল আলম দুটি কারণ উল্লেখ করেন। প্রথমত, চট্টগ্রাম বন্দরে গভীর সংস্কার আনা হচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো যাতে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। তারা চট্টগ্রাম টার্মিনাল লিজ না নিয়ে বরং বিনিয়োগ করবে এবং পরিচালনা করবে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা দ্রুত বৃদ্ধি পেলে তা পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুণক প্রভাব ফেলবে।

আরও পড়ুন