মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:
দায়িত্ব গ্রহণের পর বিজিএমইএ সভাপতির সদস্যদের জন্য ২৫ শতাংশ চাঁদা ফি কমানোর ঘোষণা সবুজ পোশাক কারখানায় বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে শ্রেণিকৃত ঋণ পরিস্থিতি এক নজরে -মার্চ ২০২৫ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে শ্রেণিকৃত ঋণের উল্লম্ফন: চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাত ঈদ-পরবর্তী ব্যাংকিং খাতে আনন্দের আমেজ, গ্রাহকদের উপস্থিতিও কমেছে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণ চূড়ান্ত পর্যায়ে, এই প্রক্রিয়ায় কেউ চাকরি হারাবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ তেলের দাম এবং অর্থনীতির অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করছে, যা বাংলাদেশের জন্য হুমকি বাগেরহাটের নারীরা পরিবেশবান্ধব কারুশিল্প দিয়ে বিশ্ব বাজারে পা রাখছেন সরকার মধ্যমেয়াদী পলিসি ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতিকে শীর্ষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে

স্থল পথে সূতা আমদানি বন্ধ করায়, ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পে মন্দা, বাংলাদেশে রপ্তানির বিকল্প পথ খুঁজছে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

ঢাকা, এপ্রিল ২৯: বাংলাদেশে স্থল পথে সূতা আমদানি বন্ধ করায়, ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পে মন্দা, বাংলাদেশে রপ্তানির বিকল্প পথ খুঁজছে ।

ভারতের টেক্সটাইল শিল্প বাংলাদেশে সুতা রপ্তানির জন্য নতুন উপায় খুঁজছে। দেশটির সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল কে. সেলভারাজু জানান, ভারত থেকে মোট রপ্তানি হওয়া সুতার প্রায় ৪৫ শতাংশ যায় বাংলাদেশে।

আগে প্রতি মাসে ১০ কোটির বেশি কেজি সুতা রপ্তানি হলেও, এখন তা কমে প্রায় ৯ কোটি কেজিতে দাঁড়িয়েছে।স্থানীয় টেক্সটাইল মিল মালিকদের দীর্ঘদিনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করেছে। এই কারণে, ভারতীয় টেক্সটাইল মিলগুলো এখন বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা অনুসন্ধানে মনোযোগ দিচ্ছে।

তারা এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে।ভারত থেকে বাংলাদেশে যে সুতা রপ্তানি হয়, তার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ—যা মূলত রঙিন এবং বিশেষ ধরণের—স্থলবন্দর দিয়ে পরিবহন করা হতো।সম্প্রতি, ভারতীয় সুতা রপ্তানিকারকরা একটি বৈঠকে বিকল্প পরিবহন পদ্ধতির বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেমন কনটেইনার জাহাজে করে পাঠানো অথবা অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করা।

তারা বাংলাদেশি ক্রেতাদের সাথেও আলোচনা করেছেন।কটন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক সিদ্ধার্থ রাজগোপাল বলেন, সমুদ্রপথে কনটেইনারে পণ্য পাঠাতে বেশি সময় লাগে, এটাই প্রধান সমস্যা।

বর্তমানেও ভারতের ৭০ শতাংশ সুতা সমুদ্র পথেই বাংলাদেশে যায়। যারা আগে স্থলবন্দর ব্যবহার করতেন, এখন তারাও সমুদ্রপথ ব্যবহার করবেন। কলকাতা থেকে ছোট জাহাজও চলাচল করে, সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ খতিয়ে দেখা দরকার।

সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল কে. সেলভারাজু আরও উল্লেখ করেন যে, ভারত মূলত চীন ও বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সুতা রপ্তানি করত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ভারত থেকে তুলনামূলকভাবে কম সুতা কিনছে।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ রপ্তানিও যদি ব্যাহত হয়, তাহলে সেই সুতা দেশের বাজারে এসে দাম কমিয়ে দেবে। এর ফলে দেশের টেক্সটাইল খাতের পুরো সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সেলভারাজু জানান, উত্তর ভারতের টেক্সটাইল মিলগুলো বর্তমানে স্থলবন্দর বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে সমগ্র টেক্সটাইল স্পিনিং শিল্পই ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন